প্রতীকী ছবি।
কথা ছিল, নতুন তালিকা করে বাদ দেওয়া হবে জল। কিন্তু দেখা গেল, নতুন তালিকায় জল ঢুকেছে ভাল রকমই।
হিঙ্গলগঞ্জের গোবিন্দকাটি পঞ্চায়েত এলাকা আমপানে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। মালেকানঘুমটিতে কালিন্দী নদীর বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম ভেসেছে। প্রচুর বাড়িঘর ভেঙেছে। গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। পঞ্চায়েতের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বাড়িভাঙার ক্ষতিপূরণের যে তালিকা পঞ্চায়েত প্রথমে তৈরি করেছিল, তাতে নাম ছিল ৩,৯০০ জনের। পঞ্চায়েতের হিসেবে, এলাকায় ৫,৩০০ পরিবারের বাস। পাকা ছাদ বাড়ি প্রায় ১০০। ইটের বাড়ি প্রায় ১০০০ খানেক। নানা দিক থেকে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে থাকায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নতুন তালিকা তৈরি করা হয়েছে এই পঞ্চায়েতেও। দেখা যাচ্ছে, ব্লক অফিসে যে তালিকা জমা পড়েছে, সেখানে ক্ষতিপূরণের তালিকায় নাম আছে অন্তত ৬০০০ জনের। অর্থাৎ, যত পরিবারের বাস এলাকায়, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা তার থেকে বেশি! হিঙ্গলগঞ্জের যুগ্ম বিডিও ওমপ্রকাশ গুপ্ত বলেন, ‘‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
কী করে ঘটল এমন কাণ্ড? পঞ্চায়েতের দাবি, একই পরিবারের একাধিক লোকের নাম তালিকায় ঢোকানোর ফলেই ঘটেছে এই ঘটনা। অর্থাৎ, একটি বাড়ি ভাঙলেও ক্ষতিপূরণের তালিকায় নাম আছে সেই বাড়িতে বসবাসকারী চার সদস্যের। এই ঘটনায় বিরোধীদেরই দায়ী করেছে পঞ্চায়েতে ক্ষমতাসীন তৃণমূল। পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের সঞ্জীব মণ্ডলের দাবি, তিনি নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালিকা ধরে মেলানোর কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রাথমিক তালিকায় হাজার চারেক মানুষের নাম ছিল। সিপিএম এবং বিজেপি আলাদা করে প্রায় দু’হাজার নামের তালিকা ব্লক অফিসে জমা করেছে। তার ফলে এই পরিস্থিতি।’’ প্রধানের অভিযোগ, বিরোধীরা ভুল বোঝাবুঝি এবং গন্ডগোল বাধানোর চেষ্টা করতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। প্রধানের কথায়, ‘‘যেখানে এক পরিবারের একটি ঘর ভেঙেছে, সেখানে বাড়ির লোকজনকে উস্কানি দিয়ে একাধিক নাম তালিকায় তুলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy