ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
সিআইডি-র জেরার প্রথম দিনে দাবি করেছিলেন, তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। দ্বিতীয় দিনে ষড়যন্ত্রী হিসেবে সিপিএমের একাধিক নেতার দিকেই আঙুল তুলেছেন ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত রাজ্যসভা-সদস্য ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার ভবানী ভবনে সিআইডি-র জেরার মুখে একাধিক বার উত্থাপন ষড়যন্ত্রের প্রসঙ্গ তুলেছেন ওই অভিযুক্ত। একই কথা বলেছেন বিকেলে ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে। সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত ওই সাংসদের কথায়, ‘‘আমার পূর্বতন দলের দু’জন নেতার পরিকল্পনায় সব হয়েছে।’’
আপাতত দলহীন সাংসদ ঋতব্রত এ দিন সাংবাদিকদের জানান, তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকা পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য তিনি খরচ করতে চান এবং সেই জন্য রাজ্য সরকারের সহযোগিতা ও সাহায্য দরকার। তাঁর অভিযোগ, সাংসদ তহবিলের টাকা পূর্বতন দলের নির্দেশে যে-ভাবে খরচ করা হয়েছে, তাতে তিনি সন্তুষ্ট নন।
‘‘অনেকেই বাজে অজুহাত খাড়া করে নিজের দোষ আড়াল করার চেষ্টা করেন। তবে মানুষ সব বোঝেন,’’ ঋতব্রতের অভিযোগের জবাবে বলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
নম্রতা দত্ত নামে বালুরঘাটের এক তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা হয়েছে ঋতব্রতের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় মঙ্গলবারের পরে এ দিনও সিআইডি-র জেরার মুখোমুখি হন তিনি। আজ, বৃহস্পতিবার মধ্য কলকাতার একটি হোটেলে বান্ধবী দূর্বা সেনের সঙ্গে ঋতব্রতের বিয়ের অনুষ্ঠান। তার আগের দিন বেলা ১টা থেকে বিকেল প্রায় ৫টা পর্যন্ত জেরা করা হয় ঋতব্রতকে।
সিআইডি এ দিন ঋতব্রতের একটি ল্যাপটপ ও চারটি আইফোন বাজেয়াপ্ত করে। ল্যাপটপটি তিনি ঋতব্রতকে উপহার দিয়েছিলেন বলে নম্রতাই তদন্তকারীদের জানান। এ দিন নম্রতার কাছ থেকে ওই উপহার পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ঋতব্রতও। গোয়েন্দারা জানান, নম্রতা যে এই ব্যাপারে সত্যি বলেছেন, সেটা এ দিন প্রমাণিত হল। গোয়েন্দারা ওই ল্যাপটপ এবং মোবাইলগুলি ঘেঁটে দেখবেন, ঋতব্রত কবে কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এবং কী ছিল সেই কথোপকথনের বিষয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy