Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Anubrata Mondal

পরিযায়ী কেন, ওঁরা জেলার লোক: অনুব্রত

বাড়ি ফিরে আসা শ্রমিকদের যাতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয় তার জন্য ইতিমধ্যেই সমস্ত ব্লক সভাপতিদের বলে দেওয়া হয়েছে বলেও এ দিন জানান অনুব্রত।

চলছে জেলা কমিটির বৈঠক। নিজস্ব চিত্র

চলছে জেলা কমিটির বৈঠক। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বোলপুর শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২০ ০৪:৫৯
Share: Save:

জেলায় ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের মন্তব্যে বিতর্ক বেধেছিল শনিবার। রবিবার জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানিয়ে দিলেন ওই শ্রমিকদের পরিযায়ী বলা ঠিক নয়, কারণ তাঁরা বীরভূমেরই মানুষ। শতাব্দীও এ দিন দাবি করেন, তাঁর বক্তব্যের অংশবিশেষ প্রচার করে বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

রবিবার বোলপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে জেলা কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে সাংসদের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অনুব্রত বলেন, ‘‘প্রথমত উনি যা মন্তব্য করেছেন আমি তা দেখিনি। তবে কয়েকজনের মুখে শুনেছি। পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখার জন্য যতটুকু দরকার আমরা করব। কোথাও যদি খাবারের মান খারাপ হয় তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব। এখনও পর্যন্ত কোথাও খাবারের গুণমান খারাপ নেই। কোথাও কোথাও পরিযায়ী শ্রমিকেরা বলেছেন দু’বেলা ডিম ভাত দেওয়া হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে আমরা একবেলা মাছ ও একবেলা ডিম দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই শ্রমিকদের কেন পরিযায়ী শ্রমিক বলব? তাঁরা আমারই জেলার লোক। বাইরে তাঁরা কাজের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন।’’ বাড়ি ফিরে আসা শ্রমিকদের যাতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয় তার জন্য ইতিমধ্যেই সমস্ত ব্লক সভাপতিদের বলে দেওয়া হয়েছে বলেও এ দিন জানান অনুব্রত।

এ দিন দুবরাজপুরে বিডিও-র সঙ্গে দেখা করতে এসে তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে বলে দাবি করেন শতাব্দীদেবী। এত সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিকদের জামাই আদর করা মুশকিল বলে সাঁইথিয়ায় মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সাংসদ। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এ দিন শতাব্দীদেবী বলেন, ‘‘আমি বলল পুরো সাক্ষাৎকারটা ৯৯জন লোক দেখেননি। দু-একটা শব্দকে বেছে এটা করা হয়েছে। কিন্তু সেটা বেশিরভাগ লোক শোনেননি বা বোঝার চেষ্টা করেন নি। আমি বলেছি যদি আপনার বাড়িতে একজন লোক আসেন, তাহলে যে ভাবে আপনি আপ্যায়ণ করতে পারবেন হাজার লোক এলে সেটা পারবেন না। এত লোক আসছে, তাঁরা যদি জামাই আদর চান সেটা সম্ভব নয়। বিডিওদের সঙ্গে কথা বললে বুঝবেন তাঁদের অনেকেরই চাহিদা বেশি ছিল। যাঁরা সেটা চাননি তাঁদের কথা বলিনি। এটাও বলেছি সবাই মানসিক ভাবে অস্থিরতার মধ্যে রয়েছেন বলে এমনটা হচ্ছে।’’

এ দিন বৈঠকের পর দলের কর্মসূচি চালু করার কথাও জানান অনুব্রত। তিনি বলেন, ‘‘করোনা নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে, স্বভাবতই দীর্ঘদিন ধরে দলের কর্মসূচি বন্ধ থাকবে না। তাই আগামী ১৪ জুন এর পর থেকে প্রত্যেকটি ব্লকে ব্লকে অঞ্চল সভাপতি, বুথ সভাপতি ও ব্লক কমিটিকে নিয়ে

বৈঠকে বসে দলের কর্মসূচি ঠিক করা হবে। কোনও জনসভা করা হবে না, নিজেদের মধ্যে বৈঠক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে করোনা, আমপান, ধানের ক্ষতি, জেলায় ফেরা শ্রমিকদের কোনওঅসুবিধা হচ্ছে কি না এই সমস্ত বিষয় নিয়ে সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলোচনা করা হবে।’’

বোলপুরে বীরভূম জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে এ দিনের জেলা কমিটির বৈঠকে অনুব্রত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক, প্রতিটি ব্লকের ব্লক সভাপতি-সহ তৃণমূলের নেতা কর্মীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Anubrata Mondal Bolpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE