লোকসানে চলা আটটি রুটে ট্রেন চলাচল যে বন্ধ করা হবে না, তেমন ইঙ্গিত শুক্রবারই দিয়েছে পূর্ব রেল। কিন্তু ট্রেন চালানোর জন্য লোকসানের অর্ধেক ভাগ রাজ্যকে বহন করতে বলে রেল যে চিঠি দিয়েছে, এ বার তা প্রত্যাহারের দাবি তুলল তৃণমূল। এই আন্দোলনে বামেরাও পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। যার অর্থ, ট্রেন বন্ধের ওই উদ্যোগের প্রতিবাদে তৃণমূল ও বাম এক হয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কোমর বাঁধছে।
আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ওই চিঠি প্রত্যাহৃত না হলে তৃণমূল পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাবে বলে শনিবার জানিয়েছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল ভবনে পার্থবাবু বলেন, ‘‘বাংলার গ্রাম ও শহরের মধ্যে যোগাযোগের যে ব্যবস্থা রেলমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছিলেন, তা এখন একতরফাভাবে বন্ধ করে দিতে চাইছে কেন্দ্র। বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করছে কেন্দ্র।’’ পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘বর্ধমান-কাটোয়া রেললাইন বন্ধ করবে? ক্ষমতা থাকলে বন্ধ করুক।’’
রেলের পাঠানো চিঠি প্রত্যাহার করার জন্য সংসদের পাশাপাশি বিধানসভা থেকেও কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে চায় তৃণমূল। রাজ্যের সব স্তরের মানুষকে নিয়ে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। বামেরা কেন্দ্রবিরোধী আন্দোলনে রাজ্যের পাশে রয়েছে বলে চিঠিতে জানিয়েছেন সুজনবাবু।
কিন্তু যে আটটি রুট কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে চাইছে, তা অলাভজনক বলে রেলমন্ত্রক জানিয়েছে। ওই রুটগুলির ট্রেনে প্রতিদিন গাদাগাদি ভিড় থাকে। যাত্রী থাকলেও তাঁরা টিকিট না কাটায় রেলের ক্ষতি হচ্ছে বলেই রেল কর্তাদের বক্তব্য। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘ক্ষতি স্বীকার করে নিশ্চই ট্রেন চালাবে না মন্ত্রক। রাজ্য সরকারের উচিত ওই রুটগুলিতে কেন লোকসান হচ্ছে, তার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা।’’ জবাবে পার্থবাবু বলেন, ‘‘অলাভজনক হলে তার দায় কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে। রেলের কি জনস্বার্থ নেই? শুধুই লাভ করতে হবে?’’
তা হলে কি বিনা টিকিটে ট্রেনযাত্রার পক্ষেই তৃণমূল? পার্থবাবুর জবাব, ‘‘আইন ফাঁকি কি সমর্থন করতে পারি? তবে তা দেখার দায়িত্ব যাদের, তাদেরই বিষয়টা খেয়াল রাখা উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy