Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

‘কাটমানি’ না পেয়ে নালিশ

যা শুনে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের এক কর্মাধ্যক্ষ শুনিয়ে দিচ্ছেন, ‘‘বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে কাটমানির ভাগ মনোমত না হলেই এজরাত এমন অভিযোগ তোলে। এটাই ওর স্বভাব।’’

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৯ ০২:৪৭
Share: Save:

দলেরই নিয়ন্ত্রণে থাকা ফরাক্কার এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুললেন তৃণমূলেরই ফরাক্কা ব্লক সভাপতি এজারত আলি। অভিযোগটা দুর্নীতির।

যা শুনে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের এক কর্মাধ্যক্ষ শুনিয়ে দিচ্ছেন, ‘‘বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে কাটমানির ভাগ মনোমত না হলেই এজরাত এমন অভিযোগ তোলে। এটাই ওর স্বভাব।’’

এই অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে দলের অন্দরের ‘ক্ষতবিক্ষত’ অবস্থাটা। এমনই মনে করছেন তৃণমূলের এক জেলা নেতা। বলছেন, ‘‘ভোটের পরে দলটায় এত ছিদ্র দেখা দিয়েছে যে কোনটা ছেড়ে কোনটা সামলাব বুঝতে পারি না!’’ এর ফলে যে দলের মুখ পুড়ছে তা-ও মেনে নিচ্ছেন তিনি।

এ দিন এজরাত লিখিত ভাবে ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনের কর্তাদের কাছে দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন। এজারতের আভিযোগ, ‘‘ফরাক্কার আদিবাসী প্রভাবিত বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ অফিসের জনাকয়েক কর্মী এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।’’ এই ঘটনায় ফের স্পষ্ট হয়ে পড়ল, গোষ্ঠী বিবাদে তৃণমূলের ক্ষতবিক্ষত অবস্থা।

অভিযুক্ত ওই মহিলা প্রধান উজ্জ্বলা মণ্ডলের কথায়, ‘‘শুনেছি ব্লক সভাপতি বিডিওকে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে বিডিও এখনও কিছু জানাননি। তৃণমূল থেকে নির্বাচিত আমরা। এজারত আলি তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। কাজেই প্রশাসনের কাছে এ অভিযোগ জমা দেওয়ার আগে আমাদের সঙ্গে তার কথা বলা উচিত ছিল।’’

এজারত পাল্টা বলছেন, “ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের দলের তিন সঞ্চালক আমার কাছে দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ করেন। প্রধান-সহ পঞ্চায়েত কর্তারা পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত ছাড়াই গোপনে টেন্ডারের নামে নিজেদের মদতপুষ্ট ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিচ্ছেন। তাই বিডিও-কে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Farakka Bribe
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE