ধৃত কাউন্সিলর সঞ্জীব পাল চৌধুরী। —নিজস্ব চিত্র
পুকুর ভরাটে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে খড়দহ পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করল ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ।
পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্জীব পাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর সক্রিয় সহযোগিতায় গত কয়েক মাস ধরে এলাকার লিচুবাগানের বহু পুরনো ১২ কাঠার একটি পুকুর বোজানো হচ্ছিল। বুজিয়ে সেখানে বহুতলের নির্মাণ চলছিল। এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করলেও যাঁরা বোজাচ্ছিলেন, তাঁরা কাজ বন্ধ করেননি।
বাসিন্দারা কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানান। তাতেও কোনও ফল হয়নি। অভিযোগ, উল্টে পুকুর যাঁরা বোজাচ্ছিল তাঁদের পাশেই দাঁড়ান কাউন্সিলর।
সূত্রের খবর, স্থানীয় বেশ কিছু মানুষ দফায় দফায় খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। জানানো হয় মৎস্য দফতর এবং ভূমি রাজস্ব দফতরকেও। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই থানাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় সঞ্জীবকে। ডাকা হয় সেই ঠিকাদার সংস্থাকেও যারা এই বোজানোর কাজ করছিল।
আরও খবর: বধূ-ধর্ষণে দণ্ডিত মুক্ত হাইকোর্টে
জেরার পর, কাউন্সিলরের সক্রিয় যোগাযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া যায়। সঞ্জীব ছাড়াও গ্রেফতার করা হয় ঠিকাদার সংস্থার দীপঙ্কর দলুই, নৃপেন্দ্রনাথ কোলে এবং সুভাষ মল্লিককে। রাজ্য ভুমিরাজস্ব আইনে গ্রেফতার করে চার জনকেই বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়। পুলিশ ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানায়। আদালত কাউন্সিলরকে জামিন দেয়, বাকিদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্বশুর-শাশুড়িকে মার, ভাইরাল ভিডিয়ো
তৃণমূল সূত্রে খবর, খড়দহ পুরসভার চেয়ারম্যান তাপস ঘোষের ঘনিষ্ঠ এই কাউন্সিলর। তাঁর বিরুদ্ধে এ রকম অভিযোগ আগেও একাধিক বার উঠেছে। ভাইস চেয়ারম্যান সুকণ্ঠ বণিক বলেন, “গোটা বিষয়টি আমার জানা নেই। শুনেছি ওকে পুলিশ জেরা করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy