নিজস্ব চিত্র।
তিনি সরলেন। আবার থাকলেনও।
দীপক দাস। ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি পদে। অবশেষে টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসের আগেই পদ থেকে সরানো হল তাঁকে। দীপকবাবু সভাপতি পদ থেকে সরলেন বটে তবে থেকে গেলেন সংগঠনে। জেলা কমিটির পর্যবেক্ষক হিসাবে।
বয়স চল্লিশের কোঠায়। প়ড়াশোনার পাঠ চুকেছে বহু আগেই। এমন একজন কেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি পদে থাকবেন, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল আগেই। তৃণমূল সূত্রের খবর, প্রকাশ্যে কেউ কিছু না বললেও সংগঠনের অন্দরেও ছিল ‘অসন্তোষ’। অবশেষে এ নিয়ে হস্তক্ষেপ করলেন নেতৃত্ব।
আগামী ২৮ অগস্ট টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবস। ওই দিন কলকাতায় ব়ড় সমাবেশ হবে। জেলা টিএমসিপির পক্ষ থেকে তারই প্রস্তুতি বৈঠক ডাকা করেছিল মঙ্গলবার। মহিষাদলের রবীন্দ্র পাঠাগারে সেই প্রস্তুতি বৈঠকে জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি ঘোষণা করেন, নতুন জেলা টিএমসিপির সভাপতি হলেন অন্বেষা জানা। দীপকবাবুকে ছাত্র সংগঠনে পর্যবেক্ষক হিসাবে রাখার পাশাপাশি জেলা তৃণমূলের সম্পাদক করা হয়েছে। আচমকা এই পরিবর্তনে হতচকিত হয়ে যান প্রস্তুতি বৈঠকে উপস্থিত টিএমসিপি কর্মী, সমর্থকেরা। যদিও তৃণমূলের দাবি, এ পরিবর্তন হয়েছে আগেই। এ দিন তা আনুষ্ঠনিক ভাবে জানানো হয়েছে মাত্র। এমনকী, এ দিনের প্রস্তুতি বৈঠকও ডেকেছিলেন অন্বেষাই।
কাঁথি পুরসভার কর্মী দীপকবাবু ২০০২ সাল থেকে টিএমসিপি জেলা সভাপতি পদে রয়েছেন। আর অন্বেষা বাজকুল মিলনী মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। তিনি শারীরশিক্ষা বিভাগে পড়াশোনা করছেন। সংগঠনে রদবলের পর দীপকবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘একদিন তো সরে যেতেই হত! দল যা দায়িত্ব দেবে, তাই পালন করব।’’ অন্বেষা বলেন, ‘‘সংগঠনের জন্মদিন ২৮ অগস্ট। তারপর সবকিছু জানাব।’’
সভাপতি পদ থেকে সরালেও টিএমসিপিতে আপাতত রইলেন দীপকবাবু। ফলে সংগঠনের অন্দরে উঠছে প্রশ্ন। নয়া নেতৃত্ব কি স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন? যদিও আরেক অংশের বক্তব্য, সিদ্ধান্ত নয়া নেতৃত্বই নেবেন। শুধুমাত্র অভিজ্ঞতার সাহায্যে ‘পরামর্শ’ দেবেন দীপকবাবু। জেলা তৃণমূলের সভাপতি শিশির অধিকারী অবশ্য সরাসরি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তাঁর কথায়, ‘‘ছাত্র সংগঠনের বিষয়। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy