Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মহামিছিলে চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের

বৃহস্পতিবার তারাপীঠে পুজো দিয়ে গিয়েছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সে দিনই পুরুলিয়ার জনসভায় রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে ছুড়ে ফেলার ঘোষণা করেছেন।

পাল্টা: তারাপীঠে তৃণমূলের মিছিলে ভিড়। রয়েছেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব রবিবার। নিজস্ব চিত্র

পাল্টা: তারাপীঠে তৃণমূলের মিছিলে ভিড়। রয়েছেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব রবিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
তারাপীঠ শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৮ ০২:৫৬
Share: Save:

বৃষ্টিতে একটু তাল কাটল ঠিকই। তবে, নিজের কথামতো রবিবার তারাপীঠে মহামিছিল করে বিজেপি-কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার তারাপীঠে পুজো দিয়ে গিয়েছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সে দিনই পুরুলিয়ার জনসভায় রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে ছুড়ে ফেলার ঘোষণা করেছেন। এ দিন তারাপীঠে অনুব্রতর পাল্টা চ্যালেঞ্জ, ‘‘তুমি (অমিত) নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লোকসভা নির্বাচনে উৎখাত করতে বলেছ। বীরভূমের দু’টি লোকসভা আসন দখল করবে বলেছ। দেখি কী করে পার!’’

এ দিন তারাপীঠের মহামিছিল থেকেই কার্যত অনুব্রত জেলায় লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করলেন বলে মনে করছেন জেলা তৃণমূলের নেতৃত্বের একাংশ। সে জন্যই তারাপীঠে এক লক্ষ লোকের জমায়েতের ডাক দিয়েছিল শাসকদল। দফায় দফায় বৃষ্টিতে মানুষের উপস্থিতি এক লক্ষ না ছুঁলেও মিছিল এবং সভা ঘিরে হাজির হয়েছিলেন হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক। রামপুরহাট মহকুমার ৮টি ব্লক থেকেই বাস, ট্রেকার, গাড়ি, টোটো, অটোয় চেপে তৃণমূল কর্মীরা উপস্থিত হয়েছিলেন। দফায় দফায় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে অনুব্রতের পাশাপাশি মিছিলে শামিল হন জেলার দুই মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী এবং জেলার দলীয় বিধায়ক এবং নেতারা। পুলিশের হিসেবে হাজার পঞ্চাশেক লোকের ভিড় হয়েছিল।

ফুলিডাঙা বাসস্ট্যান্ডের সভায় অনুব্রত বলেন, ‘‘আমরা কাজ করেছি, উন্নয়ন করেছি, মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। তাই চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসি।’’ এর পরেই বিজেপি-র উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘দুর্গাপুজোর সময় ১০৮টা পদ্ম মায়ের আরাধনার জন্য অষ্টমীর দিন লাগে। পদ্ম তোমাদের জন্য নয়। তোমাদের জন্য একটা ফুল রেখে দেব। সেটা রজনীগন্ধা। যা শেষ কালে গলায় পরাতে হয়।’’ তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে অবশ্য কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের জেলা পর্যবেক্ষক সমীরণ সাহা বলেন, ‘‘অমিত শাহ রাজনৈতিক সভা নয়, পুজো দিতে এসেছিলেন। তাতেও মানুষ ভিড় করেছিল। তাতে ভয় পেয়েই পাল্টা মিছিল ও সভা করতে হল শাসকদলকে।’’

তবে, তারাপীঠের মতো পর্যটনস্থলে এই মহামিছিল ঘিরে এ দিন ভোগান্তির কিছু ছবিও ধরা পড়েছে। দুপুর ১২টা পর থেকে রামপুরহাট বাসস্ট্যান্ডে কোনও বাস ছিল না। তৃণমূল সূত্রেই জানা গিয়েছে, মহকুমার ৮টি ব্লকের ৬৫টি পঞ্চায়েতের প্রতিটি বুথ থেকে কর্মীদের জন্য বাসে করে নিয়ে আসার নির্দেশ ছিল। সে জন্য ১২০টি বাস নেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া সিউড়ি ও সাঁইথিয়া থেকেও বাস নেওয়া হয়েছে। দুপুর থেকে এতগুলি বাস পথে না নামায় ভোগান্তি হয় যাত্রীদের। এক দিকে মুষলধারে বৃষ্টি, অন্য দিকে রামপুরহাট থেকে তারাপীঠ রাস্তায় তারাপীঠ ঢোকার আগে দু’কিলোমিটার আগে রাস্তা জুড়ে মিছিলে আসা বাস দাঁড়িয়ে থাকার জন্যও কিছুটা দুর্ভোগে পড়েন পর্যটকেরা। অনেককে দীর্ঘক্ষণ তারাপীঠ ঢোকার মুখে চিলা সেতুর কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আবার মা তারার দর্শন এবং পুজো দিয়ে ফেরার পথেও যানজটে আটকে পড়তে হয় দর্শনার্থীদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE