Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
নিজস্ব সংবাদদাতা

নৌকা পোড়ানোয় নাম জড়াল জোট প্রার্থীর

নৌকাডুবির পরে সরকারি লঞ্চ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় শান্তিপুর কেন্দ্রের জোট প্রার্থী, যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অরিন্দম ভট্টাচার্যের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হল।

শান্তিপুর ও কালনা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৬ ০৩:৫০
Share: Save:

নৌকাডুবির পরে সরকারি লঞ্চ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় শান্তিপুর কেন্দ্রের জোট প্রার্থী, যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অরিন্দম ভট্টাচার্যের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হল।

বুধবার বিকেলে শান্তিপুর থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন কালনার পুরপ্রধান ও তৃণমূল নেতা দেবপ্রসাদ বাগ। অরিন্দমের দাবি, আগের রাতেই পুলিশের মারে জখম হয়ে তিনি সে দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে।

বর্ধমানের কালনাঘাট ও নদিয়ার নৃসিংহপুর ঘাটের মাঝে নৌকাডুবিতে ২০ জনের প্রাণ গিয়েছে। কিন্তু প্রথম থেকেই তা নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনার এক দিন পরেই বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় শান্তিপুর থেকে কালনাঘাটের দিকে যান। তাঁকে সেখানে নামতে দেওয়া হয়নি, বরং গালিগালাজ করে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ভোট গণনার ঠিক আগের দিন অরিন্দমের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের তাতে আরও ইন্ধন জোগাল।

কালনা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস তিনেক আগে পরিবহণ দফতর থেকে প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা মূল্যের সুসজ্জিত লঞ্চটি পায় তারা। উল্টো দিকে, নৃসিংহপুর ঘাটে বাঁধা থাকত সেটি। ঠিক হয়েছিল, ভোট মেটার পরে লঞ্চটিকে পর্যটন ও যাত্রী পরিবহণের জন্য ব্যবহার করা হবে। কিন্তু শনিবার রাতে নৌকাডুবির পরে রবিবার শান্তিপুরে ক্ষিপ্ত জনতা ৬টি নৌকার সঙ্গে সেটিতেও ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়।

কালনার পুরপ্রধানের অভিযোগ, ‘‘লঞ্চ ও নৌকাগুলি যখন পোড়ানো হয়, তার নেতৃত্বে ছিলেন অরিন্দম ভট্টাচার্য।’’ কুমারেশ চক্রবর্তী, সুমন মাহাতো, মহাদেব মণ্ডল, রামু মণ্ডল, মাহেন্দ্র মাহাতো ও কেদার মাহাতো (বাড়ি শান্তিপুর, নৃসিংহপুর ও নতুনচরে) নামে আরও ছ’জনের বিরুদ্ধেও তিনি অভিযোগ করেছেন। অরিন্দমের প্রতিক্রিয়া, “নৌকাডুবির খবর পেয়ে শনিবার রাতেই কালনায় গিয়েছিলাম। পুলিশের মারে আহত হই। যখন নৌকা পোড়ানোর ঘটনা ঘটে, আমি তখন হাসপাতালে ভর্তি। মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।”

এ দিন সন্ধ্যায় নৌকাডুবির ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যর্থতাকে দায়ী করে এবং মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলে শান্তিপুরে সভা করেন সিপিএম ও কংগ্রেস নেতারা। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এসএম সাদি বলেন, ‘‘ওই রাতে আমাদের প্রার্থী স্বজনহারা মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়েছিলেন, কিন্তু কালনার পুলিশ ওঁকে বেধড়ক মারধর করেছে।’’ অসুস্থ থাকায় অরিন্দম এ দিনের সভাতেও আসতে পারেননি।

এ দিন দুপুরে নৃসিংহপুর ঘাট ঘুরে দেখে যান আইজি (দক্ষিণবঙ্গ) অজয় রানাডে। নদিয়ার পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, “নৌকা পোড়ানো নিয়ে কালনার পুরপ্রধান যে অভিযোগ করেছেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC drowning
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE