Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Municipal Election

পুরভোটের প্রস্তুতির বার্তা রব্বানির

ডালখোলা পুরভোট নজরে রেখে নাগরিকপঞ্জি এবং নতুন নাগরিকত্ব আইনের বাতিলের দাবিতে সরব হল তৃণমূল।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডালখোলা শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:৪৫
Share: Save:

ডালখোলা পুরভোট নজরে রেখে নাগরিকপঞ্জি এবং নতুন নাগরিকত্ব আইনের বাতিলের দাবিতে সরব হল তৃণমূল। সোমবার বিকালে ডালখোলা শহরের টাউন হলে এক সভায় ওই দাবি তোলেন বক্তারা।

তৃণমূলের দাবি, এ দিনের প্রতিবাদ সভা মঞ্চে সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপির কয়েক জন নেতা-কর্মী তাদের দলে যোগ দিয়েছেন। পুরভোটের আগে তা বাড়তি লাভ। এ দিনের সভায় ছিলেন দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল, রাজ্যের শ্রম দফতরের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি, করণদিঘির বিধায়ক মনোদেব সিংহ, ডালখোলা পুরসভার যুগ্ম প্রশাসক সুভাষ গোস্বামী, টাউন সভাপতি তনয় দে। সভায় মন্ত্রী গোলাম রব্বানি এনআরসি-র বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি এখন থেকেই পুরভোটের প্রস্তুতিতে এগনোর নির্দেশও দেন।

দলীয় সূত্রে খবর, বিরোধী নেতাদের দলে শামিল করা নিয়ে ডালখোলা শহর তৃণমূলের অন্দরে বার বার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য এসেছে। তা নিয়ে তনয় ও সুভাষের বিরোধের আঁচও মিলেছে। দলের অন্দরমহলের খবর, এ নিয়ে জেলা সভাপতিকে লিখিত ভাবে আপত্তিও জানিয়েছিলেন কয়েক জন। তাঁদের আশঙ্কা, নতুনেরা দলে এলে পুরনো নেতাদের অগ্রাধিকার থাকে না। পুরভোটের মুখে বিরোধী দল থেকে আসা নেতারা টিকিটের দাবিও করতে পারেন।

এ দিন ওই আশঙ্কার কথা সভায় তোলেন জেলা সভাপতি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কাউকে শর্ত দিয়ে দলে নেওয়া হচ্ছে না। টিকিট বিলির ক্ষেত্রে স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করেই দল সিদ্ধান্ত নেবে।

তৃণমূল সূত্রে খবর, এ দিন সিপিএমের প্রাক্তন কাউন্সিলার আব্দুল হালিম, কংগ্রেসের টাউন সভাপতি তথা প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য জাভেদ আলম, জেলা সাধারণ সম্পাদক মহেশ ভগত, যুব টাউন কংগ্রেস সভাপতি সফিক আলম, আইটি সেলের সদস্য মনজাহার সিদ্দিকি তৃণমূলে যোগ দেন। একইসঙ্গে বিজেপির টাউন নেতা শম্ভু সিদ্ধা ও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের টাউন সভাপতি মৌসুমী মণ্ডলও অনুগামীরা সঙ্গে ঘাসফুল পতাকা হাতে তুলে নেন।

বিরোধী দল থেকে আসা নেতাদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং দেশে এনআরসি এবং নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে তৃণমূলের সৈনিক হিসেবে কাজ করবেন। এ দিনের পরে ডালখোলায় কংগ্রেসের কোনও নেতা থাকলেন না বলে দাবি তৃণমূলের। তবে কংগ্রেসের জেলা সম্পাদক মহম্মদ মোস্তাফা বলেন, ‘‘ডালখোলায় দু-একজন নেতা চলে গেলেও দলে প্রভাব পড়বে না। সাধারণ মানুষ কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছেন। শাসক দল উন্নয়ন ভুলে বিরোধীদের প্রলোভন দেখিয়ে দল ভাঙানোর কাজে নেমেছে।’’

সিপিএমের জেলা নেতাদের দাবি, হালিমকে দল থেকে অনেক আগেই বহিস্কার করা হয়েছে। বিজেপির টাউন পর্যবেক্ষক পুলুক কুণ্ডুর দাবি, তাঁদের দলের কেউ তৃণমূলে যোগ দেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE