প্রতীকী ছবি।
‘কাটমানি’ ও তোলাবাজির অভিযোগ থাকলে দলের নেতানেত্রীরা ছাড় পাবেন না—স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার এক বিতর্কিত নেত্রীকে সরাল তাঁর দল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার উপপুরপ্রধান শান্তা সরকারের বিরুদ্ধে ‘কাটমানি’ বা বখরা নেওয়া-সহ বহু অভিযোগ রয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের দাবি।
সূত্রের খবর, অভিযোগ পেয়ে পুরসভার এগ্জিকিউটিভ অফিসার শান্তা সরকারের দফতরের বিভিন্ন ফাইল যাচাই করা শুরু করেন। তার জেরে গত সেপ্টেম্বরে শান্তা সেই অফিসার এবং পুরপ্রধান পল্লব দাসকে অপমান করেন বলে অভিযোগ। পুরপ্রধানের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, তিনি বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে পদত্যাগ করতে চান। কিন্তু তাঁকে পদত্যাগ করতে নিষেধ করা হয়।
দলের নেতা-কর্মীদের তোলাবাজির টাকা ফেরত দিতে গত মঙ্গলবার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। হুঁশিয়ারি দেন দুর্নীতি বরদাস্ত করবেন না। ঘটনাচক্রে তার পরেই শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব শান্তাকে তাঁর পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেন। শুক্রবার পুরসভায় নতুন করে বোর্ড গড়া হয়। তাতে উপপুরপ্রধান হিসেবে শান্তার নাম নেই। যদিও ‘চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল’-দের নাম রয়েছে। পল্লব দাসকে এ দিন ফোনে পাওয়া যায়নি। শান্তা সরকারও ফোন ধরেননি এবং ‘মেসেজ’-এর উত্তর দেননি। সোনারপুরের তৃণমূল বিধায়ক ফিরোজা বেগম এ দিন বলেন, ‘‘আপাতত উপপুরপ্রধান পদে কেউ নেই। দল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’ তবে কেন শান্তাকে সরানো হল, তা নিয়ে তিনি মন্তব্য করতে চাননি।
কাটমানি-কাণ্ড নিয়ে শনিবারেও তেতে ছিল উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গ। তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ জানান, জেলায় দলের একাংশের বিরুদ্ধে ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগ পাচ্ছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দল পদক্ষেপ করবে। আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের কাউন্সিলরদের একাংশ ঠিকাদারদের দিয়ে বাংলার আবাস প্রকল্পে কাটমানি নিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি জহর মজুমদার। তুফানগঞ্জ পুর-এলাকাতেও নিয়ম ভেঙে ঠিকাদারদের দিয়ে বাংলার আবাস প্রকল্পে হাজারখানেক বাড়ি তৈরির অভিযোগে বিজেপি এ দিন বিক্ষোভ দেখায়।
এ দিন বীরভূমের সাঁইথিয়ার ফুলুর পঞ্চায়েতের নবগ্রামে ‘কাটমানি’ ফেরতের দাবিতে পঞ্চায়েত সদস্য ও ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের সুপারভাইজারের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীদের একাংশ। আবাস যোজনা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এ দিন পঞ্চায়েত প্রধান ও তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয় পাড়ুইয়ের দিঘা গ্রামেও। বছরখানেক আগে আবাস যোজনার টাকা পাইয়ে দেবেন বলে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য অনিমেষ দে ‘কাটমানি’ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শালকাঠি গ্রামে। ডেবরা থানায় অনিমেষ-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগও হয়েছে। অনিমেষ অভিযোগ মানেননি।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy