Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

ডাক বিরোধ মেটানোর

রাজ্যে ক্ষমতায় এসেও গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলায় মুখ থুবড়ে পড়েছিল শাসক দল তৃণমূল। শনিবার বীরপাড়ার জুবিলি ক্লাবের মাঠে দলের প্রথম জেলা সম্মেলনের প্রকাশ্য সভায় কার্যত সেই কথাকে মনে করিয়ে দিয়েই এ বারে জিতে এসে জেলা পরিষদ দখলের ডাক দিলেন তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী।

ত্রয়ী: তৃণমূলের জেলা সম্মেলনে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস, দলের জেলা সভাপতি মোহন বসু এবং বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। শনিবার বীরপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র

ত্রয়ী: তৃণমূলের জেলা সম্মেলনে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস, দলের জেলা সভাপতি মোহন বসু এবং বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। শনিবার বীরপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র

নারায়ণ দে ও রাজকুমার মোদক
বীরপাড়া শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৩১
Share: Save:

রাজ্যে ক্ষমতায় এসেও গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলায় মুখ থুবড়ে পড়েছিল শাসক দল তৃণমূল। শনিবার বীরপাড়ার জুবিলি ক্লাবের মাঠে দলের প্রথম জেলা সম্মেলনের প্রকাশ্য সভায় কার্যত সেই কথাকে মনে করিয়ে দিয়েই এ বারে জিতে এসে জেলা পরিষদ দখলের ডাক দিলেন তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী।

কিন্তু তাঁর সেই বক্তব্য থেকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরও ইঙ্গিত মিলেছে বলে দল সূত্রেই খবর। সে কথার প্রকাশ্যে প্রমাণও মিলেছে। দলের আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি মোহন বসু বলেই ফেলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সবাই এক।’’

দলেরই একটি সূত্রের অবশ্য বক্তব্য, সৌরভের বক্তব্যে মোহন বসুকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হয়েছে। দলের ওই অংশের বক্তব্য, বর্তমানে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ তৃণমূলের দখলে। সভাধিপতি মোহনবাবুই। কংগ্রেস থেকে ভোটে জয়ী হওয়ার পরে মোহনবাবু সদলবলে তৃণমূলে যোগ দেন। পরে সৌরভবাবুকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দল দায়িত্ব দেয় মোহনবাবুকে। তাতেই দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়েছে বলে দলের একটি সূত্রের খবর। তাদেরই দাবি, এ দিনের সভায় রাজ্য নেতৃত্ব ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছে, মোহনবাবুকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

সৌরভবাবু দ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করতে চাননি। এ দিন বক্তব্য দিতে উঠে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি মতো আলিপুরদুয়ারকে জেলা করেছেন। অনেক উন্নয়নের কাজ করেছেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা কিছু দিতে পারিনি। এবারে জিতে এসে জেলা পরিষদ দখল করতে হবে।”

আলিপুরদুয়ার জেলা হওয়ার পরে এটাই তৃণমূলের প্রথম জেলা সম্মেলন। এই জেলায় বিজেপির সংগঠন বরাবর শক্ত। মাদারিহাট বিধানসভা বিজেপির দখলে। সেই সঙ্গে তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে কোন্দলের ঘটনাও বহুবার প্রকাশ্যে এসেছে। এই অবস্থায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই সম্মেলনের মাধ্যমেই তেড়েফুঁড়ে প্রচারে নামার পরিকল্পনা করেন তৃণমূল নেতারা। সেই হিসেবেই দলের সভা নেওয়া হয় মাদারিহাট বিধানসভার বীরপাড়ায়। পাশাপাশি বিশাল মঞ্চ তৈরি করে সেখানে ছোট-বড় সব মাপের নেতাকে হাজির করান হয়। প্রধান বক্তা ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। পাশের জেলা কোচবিহার থেকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকেও সেখানে হাজির করানো হয়। দলের এক নেতার কথায়, “একদিকে যেমন বিজেপিকে সম্পর্কে মানুষের কাছে নানা বিষয় তুলে ধরা লক্ষ্য ছিল। সেই সঙ্গে দলের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে আমরা সবাই এক সে বার্তাও দেওয়া লক্ষ্য ছিল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Group Clash TMC Aroop Biswas Zila Parishad
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE