Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

তৃণমূল কর্মী ‘খুন’, অভিযুক্ত বিজেপি

জেলা পূর্ব বর্ধমান হলেও এই এলাকা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লোকসভার অন্তর্গত। এলাকার তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, গত ক’দিন ধরে বিজেপি এলাকা দখলের চেষ্টা করছিল।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সৌমেন দত্ত
গলসি শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৯ ০১:৪৫
Share: Save:

খবর পেয়েছিলেন, দলীয় প্রধানের বাড়ির লোক বিজেপির ‘বাধায়’ বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না। তা শুনে বেরিয়ে নিজের বাড়ির ২০০ মিটারের মধ্যে খুন হয়ে গেলেন গলসির তৃণমূল কর্মী জয়দেব রায় (৫০)। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন আরও তিন তৃণমূল সমর্থক। সোমবার রাতে সাটিনন্দী গ্রামের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপির ২৬ জন। তাঁদের মধ্যে চার জন গ্রেফতার হয়েছেন। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

জেলা পূর্ব বর্ধমান হলেও এই এলাকা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লোকসভার অন্তর্গত। এলাকার তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, গত ক’দিন ধরে বিজেপি এলাকা দখলের চেষ্টা করছিল। জয়দেববাবুর পুত্রবধূ গৌরী রায়ের দাবি, ‘‘ বিজেপির লোকেদের বাধায় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান বৈশাখী পুইলের বাড়ির কেউ বার হতে পারছিলেন না। তা জেনেই বাবা বেরিয়ে যান।’’ অভিযোগ, সোমবার সন্ধ্যায় গ্রামের কলাবাগানে বিজেপির লোকেরা জয়দেবের পথ আটকান। মারধর শুরু হয়। চিৎকার শুনে গ্রামে তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত মোহন পুইলে, বলরাম মালিক ও অনিল মালিক ছুটে যান। তাঁদেরও মারধর করা হয়। জয়দেবকে পাশের মাঠে নিয়ে গিয়ে শাবল, লাঠি দিয়ে ফের মারা হয়। পুলিশ গিয়ে চার জনকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যালে নিয়ে যায়। রাতেই জয়দেববাবু মারা যান।

তৃণমূল জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথের দাবি, ‘‘হামলার মোকাবিলা রাজনৈতিক ভাবে করা হবে।’’ বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘‘নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের বিজেপির ঘাড়ে চাপাতে চাইছে তৃণমূল।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC BJP Galsi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE