দুই ফ্লেক্সের তলায় লেখা সভাপতির নাম আলাদা। মেমারিতে। নিজস্ব চিত্র
এক জন ১৯ জানুয়ারি দলের ব্রিগেড সমাবেশে যাওয়ার ডাক দিয়ে ফ্লেক্স ঝুলিয়েছেন।
আর এক জন ওই সমাবেশের প্রচারে রক্তদান শিবির আয়োজনের ডাক দিয়ে ফ্লেক্স টাঙিয়েছেন।
মেমারিতে এই দুই ফ্লেক্সে দুই নেতাই নিজেকে তৃণমূলের মেমারি শহর যুব সভাপতি হিসেবে দাবি করেছেন। শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৌরভ সাঁতরার দাবি, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তিনি ওই পদে রয়েছেন। তাঁকে জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি নিয়োগপত্র দিয়েছেন। শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের খাঁড়ো এলাকার বাসিন্দা শেখ ফারুক আবদুল্লার আবার দাবি, তিনি দীর্ঘদিন শহরের যুব তৃণমূল সভাপতি পদে রয়েছেন। কে আসলে ওই পদে রয়েছেন, বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে শহরে।
ফারুক আব্দুল্লার দাবি, বর্তমান পুরপ্রধান তথা বিধানসভার পর্যবেক্ষক স্বপন বিষয়ীর নির্দেশে তিনি কাজ করছেন। রবিবার রক্তদান শিবিরে স্বপনবাবু হাজির থাকবেন বলেও তাঁর দাবি। ফারুক বলেন, ‘‘জেলা যুব সভাপতিকে জানিয়েছি। কেউ মিথ্যা দাবি করলে আমি কী করতে পারি?’’ সৌরভ সাঁতরার পাল্টা প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমার কাছে জেলা যুব সভাপতির লিখিত নিয়োগপত্র রয়েছে। আমি দল ও সংগঠনের নির্দেশে কাজ করছি। কেউ অন্যায় করলে দল ও সংগঠন তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।’’
পঞ্চায়েত ভোটের আগে মেমারি ১ ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতির পদ নিয়েও এমন সমস্যা দেখা দিয়েছিল। শেষে জেলা যুব সভাপতি সুভাষ মণ্ডল জানান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় ওই পদে রয়েছেন। নিত্যানন্দবাবু শনিবার বলেন, ‘‘আমরা সৌরভকেই শহরের যুব সভাপতি হিসেবে জানি।’’ পুরপ্রধান স্বপনবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘এ নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।’’
জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি তথা ভাতারের বিধায়ক সুভাষবাবু বলেন, ‘‘দল ও সংগঠনের নির্দেশে কেউ কোথাও নিজের নাম দিয়ে প্রচার করতে পারবে না। তার পরেও কেন নাম দিয়ে প্রচার করা হল, তা দেখব।’’ মেমারি শহরের যুব সভাপতি কে? সুভাষবাবুর জবাব, ‘‘এ নিয়ে পরে কথা বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy