এবিভিপি কর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরাই তাঁদের উপর হামলা চালান। —নিজস্ব ছবি।
দাড়িভিট-কাণ্ডের প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে অখিল ভারতীয় বিদ্যর্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার হল নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) স্টেশনে।
দাড়িভিটে দুই তরুণের নিহত হওয়ার ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করে শুক্রবার দুপুরে শিলিগুড়ি স্টেডিয়াম থেকে পানিট্যাঙ্কি মোড় পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল এবিভিপি। সেই মিছিলে যোগ দিতে মালদহ জেলা থেকে শ’তিনেক এবিভিপি কর্মী-সমর্থক এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ এনজেপি স্টেশনে নামেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই কর্মী-সমর্থকেরা স্টেশন থেকে বেরনোর সময় তাঁদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় অন্য এক দল যুবকের। তার পর গোটা স্টেশন জুড়ে শুরু হয়ে যায় ধুন্ধুমার। হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি, প্ল্যাটফর্ম জুড়ে দৌড়ঝাঁপ।
আরও পড়ুন
চোর অপবাদ দিয়ে বাবা-ছেলেকে ব্যাপক মারধর ট্রেনে, টাকা ছিনতাই!
এবিভিপি কর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরাই তাঁদের উপর হামলা চালান। ওই হামলায় তাঁদের দুই সমর্থক আহত হয়েছেন বলেও অভিযোগ। দিনভর ওই কর্মী-সমর্থকেরা কার্যত স্টেশন চত্বরেই আটকে থাকেন।
এবিভিপি-র সহ-সভাপতি বিমল দাস বলেন, ‘‘আমরা সাত দিন আগে থেকে মিছিলের কথা জানিয়েছিলাম পুলিশ এবং প্রশাসনকে। কিন্তু, পুলিশ আমাদের অনুমতি দেয়নি। অন্য দিকে ওই একই সময়ে একই রাস্তায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে মিছিলের অনুমতি দেয় পুলিশ।” তিনি আরও বলেন, ‘‘কোচবিহার থেকে ১২টি বাসে কর্মীরা আসছিলেন শিলিগুড়ি। তাঁদেরও পুলিশ রাস্তায় আটকে দেয়। আটকে দেওয়া হয় শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনেও।’’
আরও পড়ুন
কর্ণকে ছাড়াতে কাঁথি থানায় হুমকি ফোন! বাকি দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা
এনজেপিতে হামলার ঘটনায় জিআরপি থানাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন এবিভিপি কর্মীরা। অন্য দিকে, অধিকাংশ কর্মীরাই শিলিগুড়ি স্টেডিয়ামে পৌঁছতে না পারায় মিছিলের বদলে অবস্থান শুরু করেন এবিভিপি নেতৃত্ব। সেই অবস্থানে ছিলেন নিহত দুই ছাত্র তাপস বর্মণ এবং রাজেশ সরকারের মা এবং বোন। যদিও এবিভিপি নেতৃত্বর দাবি, একই রুটে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মিছিল থাকায় অশান্তির সম্ভাবনা ছিল। তাই সংঘর্ষ এড়াতেই তাঁরা মিছিল না করে অবস্থান করেন।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি মণিশঙ্কর মণ্ডল যদিও বলেন, ‘‘আমরা এ রকম কোনও ঘটনার কথা শুনিনি। খোঁজ নিয়ে জানাব।’’
(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলায় খবর জানতে পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy