Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

স্মরণীয় দিন পালনে স্কুলে হাজিরার দাবি

পর্ষদ সূত্রের খবর, ওই তিনটি দিন ছুটি থাকলেও স্কুলে তা উদ্‌যাপন করার নির্দেশ দেওয়া থাকে। অর্থাৎ ক্লাস বন্ধ থাকে, স্কুল নয়। স্কুলে যাওয়াটাই নিয়ম। প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে এখানেই বিরোধ বাধে এক শ্রেণির শিক্ষক-শিক্ষিকার।

স্মরণীয় দিনগুলিতে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের স্কুলে উপস্থিতি চায় শিক্ষক সংগঠন।

স্মরণীয় দিনগুলিতে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের স্কুলে উপস্থিতি চায় শিক্ষক সংগঠন।

সুপ্রিয় তরফদার
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৮ ০৬:২০
Share: Save:

ছুটি। কিন্তু যে-কারণে ছুটি, তা যেন উদ্‌যাপন করা হয়। সেই উদ্‌যাপনের জন্যই স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস ও নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে শিক্ষক-পড়ুয়াদের স্কুলে আসা বাধ্যতামূলক করার দাবিতে সরব হল পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতি। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদে লিখিত ভাবে এই দাবি জানিয়েছে তারা।

পর্ষদ সূত্রের খবর, ওই তিনটি দিন ছুটি থাকলেও স্কুলে তা উদ্‌যাপন করার নির্দেশ দেওয়া থাকে। অর্থাৎ ক্লাস বন্ধ থাকে, স্কুল নয়। স্কুলে যাওয়াটাই নিয়ম। প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে এখানেই বিরোধ বাধে এক শ্রেণির শিক্ষক-শিক্ষিকার। কারণ, ওই দিনগুলি বার্ষিক ৬৫টি ছুটির মধ্যে থাকায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে আসতে বাধ্য করানো যায় না। স্কুলে আসে না পড়ুয়ারাও। তা হলে প্রশ্ন ওঠে, বিদ্যালয়ে ওই সব দিন উদ্‌যাপন করার নির্দেশ পালন করবে কে? এর দায়িত্ব থাকে মূলত প্রধান শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষিকার উপরেই। তাই তাঁকে স্কুলে আসতেই হয়।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্রীদামচন্দ্র জানার বক্তব্য, স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস ও সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন যথাবিহিত ভাবে পালন করার কথা বলা হয়। তার প্রধান উদ্দেশ্য, ওই সব বিশেষ দিন সম্পর্কে পড়ুয়াদের মধ্যে সুস্পষ্ট ধারণা তৈরি করা, মূল্যবোধ জাগানো। কিন্তু ছুটি নিয়ে বিভ্রান্তির ফলে প্রধান উদ্দেশ্যই সিদ্ধ হচ্ছে না। শুধু সরকারের নির্দেশ পালন হচ্ছে। ওই দিনগুলি ‘ছুটি’ হিসেবে গণ্য করায় কেউই স্কুলে আসে না। পর্ষদের উচিত, এই নিয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করা। ‘‘শিক্ষকদের ছুটির তালিকায় পর্ষদ যদি বাধ্যতামূলক উপস্থিতির কথাটা উল্লেখ করে দেয়, তা হলেই সমস্যা মিটে যাবে,’’ বলছেন সম্পাদক।

পর্ষদের এক কর্তা জানান, নির্দেশ ঠিকমতোই দেওয়া আছে। কিন্তু ভুল ব্যাখ্যা করছেন অনেকে। ছুটি থাকা সত্ত্বেও ওই সব দিনকে ‘বিদ্যালয়ে পালনীয়’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তার মানে ওই সব দিনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বা সুভাষ স্মরণের জন্য শিক্ষক-পড়ুয়াদের স্কুলে আসা বাধ্যতামূলক। ওই কর্তা বলেন, ‘‘বিদ্যালয়ে পালনীয় কথার অর্থ শিক্ষকদের বোঝা উচিত। প্রধান শিক্ষকেরা অন্য শিক্ষকদের ওই সব দিনে স্কুলে আসার কথা বলতেই পারেন। নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকারাও স্কুলে আসতে বাধ্য। নিজেদের মতো করে এই সব ছুটির ব্যাখ্যা করলে চলবে না।’’

বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘এই ধরনের বিশেষ দিনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে আসতে বাধা নেই। কিন্তু হাজিরা খাতায় সই করতে দিতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

School Red Letter Day Teachers Students
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE