শনিবার সারাটা দিন কুণাল ঘোষের মন পড়ে থাকবে জেলেই। এই সে দিন জামিন পেলেন। তা হলে আবার সাধ করে জেল কেন?
জেল-জীবনে কয়েদিদের নিয়ে ক্রিকেট দল গড়েছিলেন তৃণমূলের এই সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ। টিমের নাম ‘গ্যালাক্সি’। আজ,শনিবার সেই দল ফাইনাল খেলবে প্রেসিডেন্সি জেলে। প্রতিপক্ষ বাগুইআটির জোড়া খুনের মামলায় অভিযুক্ত দেবজ্যোতি ঘোষ ওরফে বাবাই-য়ের ‘অ্যাভেঞ্জার’। ৯ জনের দল। টেনিস বলে ১৫ ওভারের ম্যাচ। কুণালের দলের কয়েক জন ‘ক্রিকেটার’-এর নাম ইতিমধ্যেই পরিচিত সাধারণের কাছে। যেমন, গ্যালাক্সির ওপেনিং ব্যাটসম্যান— রেড রোডে বায়ুসেনার অফিসারকে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলা ঘটনায় অভিযুক্ত সাম্বিয়া সোহরাব। তা ছাড়া, পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ-কাণ্ডে অভিযুক্ত রুমন খান, পোস্তায় ডাকাতির ঘটনায় ধৃত রবীন্দ্র প্রসাদ, হাওড়া তপন দত্ত খুনে অভিযুক্ত সন্তোষ প্রসাদ।
আরও পড়ুন: জলের অপচয় বন্ধে কড়া বার্তা মমতার
এমন মেগাফাইনাল দেখতে দলের ‘মেন্টর’ যাবেন না!
কুণাল বললেন, ‘‘রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে যে কোনও জেলে যেতেই পারি। কিন্তু জামিনের শর্তে বলা হয়েছে, আমি নারকেলডাঙা থানা এলাকার (তাঁর বাড়ি এই থানা এলাকায়) বাইরে শুধু রাজ্যের কোনও আদালত ও সিবিআই দফতরে যেতে পারি। তার বাইরে কোথাও নয়।’’
প্রেসিডেন্সি জেলে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। দেবাশিস চক্রবর্তী সুপার থাকার সময়ে ২০১৫ সালে এর শুরু। ঠিক হয়, দল পরিচালনা ও দেখভাল করবে বন্দিদেরই। গত বারের টুর্নামেন্টে সেই দল লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছেছিল। কিন্তু সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলা হয়নি জেলের মাঠে জল প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায়। পরের টুর্নামেন্টের জন্য যখন প্রস্তুতি শুরু হয়, তত দিনে জামিন পেয়ে গিয়েছেন কুণাল। তবু বাইরে থেকেই দলের খেলোয়াড়দের জন্য পোশাক ও জুতো কিনে পাঠিয়ে দেন। অবশ্যই জেল সুপারের অনুমতি নিয়ে। এ বারের টুর্নামেন্টে দলের একটি ম্যাচও দেখতে পাননি।
স্বাভাবিক ভাবেই দল ফাইনালে ওঠায় খুশি কুণাল। বললেন, ‘‘এখন ট্রফিটা আশা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy