ভাঙচুর চালানো হয়েছে নার্সিংহোমে।—নিজস্ব চিত্র।
দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার সতর্ক করার পরেও গোষ্ঠীকোন্দল, তোলাবাজির ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছেন তৃণমূলের নেতা এবং তাঁদের অনুগামীরা। এ বার গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হুগলির জাঙ্গিপাড়া।
সোমবার রাত থেকে গোষ্ঠী সংঘর্ষ চলছে জাঙ্গিপাড়ায়। মঙ্গলবারও এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। অভিযোগ, তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় যুব তৃণমূলের এক নেতার বাড়িতে চড়াও হন জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল জব্বারের অনুগামীরা। নাম জড়িয়েছে জাঙ্গিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শেখ আব্দুল রহিম ওরফে দুল-এর। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেতা। আব্দুল জব্বারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
জাঙ্গিপাড়ার ওই যুব তৃণমূল নেতা শেখ মইনউদ্দিন পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, “তোলাবাজির ঘটনায় আব্দুল জব্বার এবং আব্দুল রহিমের দলবল জড়িত। তার ফলে এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েছেন। এর প্রতিবাদ করায় আমাকেই হেনস্থা হতে হচ্ছে। আমার কাছেও তোলাবাজির টাকা চাওয়া হয়েছিল।”
আরও পড়ুন: খবর হতেই সাসপেন্ড আধিকারিক, আচমকা বন্ধ হয়ে যাওয়া চাল-টাকা বিলি শুরু সিঙ্গুরের চাষিদের
আরও পড়ুন: পুরস্কার মাংস, ফুটবল মাঠে ছাগল
শেখ মইনউদ্দিনের বন্ধ নার্সিংহোমও ভাঙচুর চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা লুঠ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূ্ত্রে খবর, আব্দুল রহিম ও জব্বার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দশ লক্ষ টাকা তোলা চেয়েছিলেন। সেই টাকা না দেয়ায় ওই ব্যবসায়ী দোকানে হামলা চালানো হয়। ওই দোকান থেকে কিছুটা দূরে ছিল পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতির নার্সিংহোম। সেখানেও ভাঙচুর চালানো হয়। যদিও এখন ওই নার্সিংহোম চালু নেই। তার পরেও ভাঙচুর চালানো হয়। জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই এই গোষ্ঠীকোন্দলের খবর গিয়েছে জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিষ চক্রবর্তীর কাছে। ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্যি কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy