রণক্ষেত্র তুফানগঞ্জ। নিজস্ব চিত্র
রাজনৈতিক হিংসা এখনও থামল না কোচবিহারে। বুধবারতৃণমূল এবং বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল কোচবিহারের তুফানগঞ্জ। বোমাবাজি, আগুন, ভাঙচুরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল তুফানগঞ্জের চিলাখানা এলাকা। নামাতে হল বিশাল পুলিশ বাহিনী, চলল লাঠি। দুই দলই পরস্পরের বিরুদ্ধে অশান্তি এবং সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছে।
ইটভাটার শ্রমিক ইউনিয়নের দখল কাদের হাতে থাকবে, তা নিয়েই এ দিন তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষনেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দাবি, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে এ দিন তৃণমূল একটি মিছিল করছিল। সেই মিছিলে বিজেপি বিনা প্ররোচনায় হামলা চালায় বলে তাঁর অভিযোগ। বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
ঠিক উল্টো বয়ান মিলছে বিজেপি শিবির থেকে। দলের কোচবিহার জেলা কমিটির সভানেত্রী মালতী রাভা রায় দাবি করেছেন যে, লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার জেলায় যে পরাজয়ের মুখ তৃণমূলকে দেখতে হয়েছে, তা মানতে না পেরে গোটা জেলায় সন্ত্রাস কায়েম করতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল। তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙা-সহ জেলার নানা প্রান্তে বিজেপির উপরে হামলা হচ্ছে বলে মালতী রাভা রায়ের দাবি।
আরও পড়ুন:ইসকন মন্দিরে লোন উল্ফ কায়দায় জঙ্গি হানার ছক! ভারতীয় গোয়েন্দারা সতর্ক করল ঢাকাকেও
আরও পড়ুন:চ্যাম্পিয়নরা অত সহজে শেষ হয় না, ধোনি-প্রসঙ্গে নিজের তুলনা টানলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ
এ দিনের সংঘর্ষে অবশ্য কোনও এক পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত নয়। তৃণমূল এবং বিজেপি, দু’দলের পার্টি অফিসেই ভাঙচুর হয়েছে। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামানো হয়। অশান্তি থামাতে পুলিশ লাঠিচার্জও করে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই কোচবিহারে অশান্তি শুরু হয়েছিল। ভোট মিটে যাওয়ার পরেও তা থামেনি। প্রায় রোজ জেলার কোনও না কোনও প্রান্ত থেকে সংঘর্ষের খবর মিলছে। লাগাতার অশান্তির প্রতিবাদে এ দিন তুফানগঞ্জের ব্যবসায়ী সমিতি ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধও করে রেখেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy