ধৃত: সামসাদ মিয়াঁ ওরফে তনবির (বাঁ দিকে), রিয়াজুল ইসলাম ওরফে সুমন।
জেএমবি-র পরে এ বার এবিটি। পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের আরও একটি জঙ্গি সংগঠন ও তার সদস্যদের হদিস পেলেন গোয়েন্দারা। আনসারুল্লা বাংলা টিম নামে এই সংগঠনটির দাবি, তারা আল কায়দার বাংলাদেশ শাখা।
তিন বছর আগে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সূত্রে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের ঘাঁটি গেড়ে থাকার কথা জানা গিয়েছিল। মঙ্গলবার খাস কলকাতা রেল স্টেশন থেকে দু’জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। তাদের দাবি, ধৃত দু’জন জঙ্গি সংগঠন
আনসারুল্লা বাংলা টিমের সদস্য। গত দু’-আড়াই বছরে বাংলাদেশে মুক্তমনা ব্লগারদের পরপর খুন করার ঘটনায় ওই সংগঠনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে সে দেশের পুলিশ। ২০১৫-র মে মাসে ওই সংগঠনকে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এবিটি-র তিন সদস্য ২০১৬ সালে উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বেআইনি ভাবে ঢোকে। তাদের দু’জনকে এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ কলকাতা স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। তৃতীয় জনের খোঁজ মেলেনি।
ডিসি (এসটিএফ) মুরলীধর শর্মা জানান, ধৃত দুই বাংলাদেশির নাম সামসাদ মিয়াঁ ওরফে তনবির এবং রিয়াজুল ইসলাম ওরফে সুমন। তনবিরের বাড়ি শ্রীহট্টে। রিয়াজুল খুলনার বাসিন্দা। এবিটি-র একটি শাখার আমির তথা প্রধান এই তনবির। সে বাংলাদেশে একাধিক মুক্তমনা ব্লগার খুনের মামলায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’।
এই দু’জনের সঙ্গে বসিরহাটের বাসিন্দা, মনোতোষ দে ওরফে মনাদাও গ্রেফতার হয়েছে। এসটিএফের দাবি, ওই ব্যক্তি বেআইনি অস্ত্রের কারবারি। তার কাছ থেকে ভাল মানের আগ্নেয়াস্ত্র কেনার পরিকল্পনা ছিল এবিটি-র সদস্যদের।
ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র, তিনটি কার্তুজ, গুলির কিছু ম্যাগাজিন, বোমা তৈরির সার্কিট উদ্ধার করা হয়েছে। মিলেছে আল কায়দা সংক্রান্ত প্রচুর নথিও। পুলিশের দাবি, ২০১৭-র মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই দুই বাংলাদেশি ছিল হায়দরাবাদে। সেখানে তনবির নিজের ভুয়ো আধার কার্ড করায় তুষার বিশ্বাস নামে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy