গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা শেখ রুকুমুদ্দিন। —ফাইল ছবি
বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বয়াল-১ অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি শেখ গোলাম রুকুমুদ্দিন। ঘটনার তিন দিন বাদে রুকুমুদ্দিনকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা হল শেখ মজনু এবং শেখ ইলিয়াস। দু’জনেই বয়ালের বাসিন্দা বলে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ জানিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছিল পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ জেরার পর রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ধৃত দু’জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল রুকুমুদ্দিনের পরিবার। তবে, ঠিক কী কারণে শেখ ইলিয়াস এবং শেখ মজনু ওই অঞ্চলের ডাকসাইটে তৃণমূল নেতা রুকুমুদ্দিনকে খুন করতে চেয়েছিল, তা জানা যায়নি। পুলিশও এই বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি। পুলিশের এক কর্তা এদিন বলেন, ‘‘এখনও অনেক কিছু জানা হয়নি। তাই গোটা প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়।’’
উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ তেরপেখ্যা থেকে দলীয় কর্মসূচি সেরে স্কুটি চেপে বাড়ি ফিরছিলেন রুকুমুদ্দিন। বাড়ির অদূরে একটি ক্লাবের কাছে তাঁকে লক্ষ্য করে পিছন থেকে গুলি করা হয়। পরদিন নন্দীগ্রামে প্রতিবাদ মিছিল ও সভা করেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেছিলেন, এটা দুষ্কৃতীদের কাজ। সেই মত আহতের পরিবারকে থানায় অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।
দলীয় সূত্রের খবর, রুকুমুদ্দিন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর মঙ্গলবারই প্রথম ব্লক কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূল ব্লক নেতৃত্ব। সেখানেও সব আলোচনা ছাপিয়ে গিয়েছে এই তৃণমূল নেতাকে খুনের চেষ্টার প্রসঙ্গ। যদিও রাজনীতির প্রসঙ্গ উড়িয়ে দিয়েছে শাসক দল। নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা মেঘনাথ পাল বলেন, ‘‘ধৃতেরা দলের কেউ নয়। তা ছাড়া এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ আছে বলে মনে করি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy