Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

দুই রক্ষীকে মার বারাসত কলেজে

কলেজ সূত্রের খবর, কলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ওই দুই ছাত্রের নাম আকাশ বসু ও শুভঙ্কর আলি। দলবল নিয়ে তাঁরা কেন কলেজে ঢুকছেন, তা জানতে চান রক্ষী গোবিন্দবাবু। ধমকধামক শুরু করেন আকাশ-শুভঙ্কর।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৮ ০৫:১৫
Share: Save:

গোলযোগ যেন থামতেই চাইছে না বারাসত কলেজে! টিএমসিপি-র দুই কর্মীর হাতে দুই পুরুষ ও মহিলা রক্ষী এবং এক অশিক্ষক কর্মীর নিগ্রহের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সেখানে ফের গোলমাল বাধে। দুই রক্ষীকে মাটিতে ফেলে পেটানো হয়। হেনস্থার মুখে পড়েন এক অশিক্ষক মহিলা কর্মীও। পুলিশ ডেকে অভিযোগ জানান কলেজ-কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, অশান্তি সৃষ্টিকারী ছাত্রদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শাসক দলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি-র গোষ্ঠী-কাজিয়ায় ইদানীং বারবার উত্তাল হয়ে উঠছে বারাসত কলেজ প্রাঙ্গণ। বুধবার দুপুরের গোলমালের মূলেও সেই দাদাগিরি। ক্লাস না-থাকা সত্ত্বেও দলবল নিয়ে টিএমসিপি-র দুই কর্মী কলেজে ঢুকতে গেলে নিরাপত্তারক্ষী গোবিন্দ বিশ্বাস বাধা দেন। কলেজ সূত্রের খবর, কলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ওই দুই ছাত্রের নাম আকাশ বসু ও শুভঙ্কর আলি। দলবল নিয়ে তাঁরা কেন কলেজে ঢুকছেন, তা জানতে চান রক্ষী গোবিন্দবাবু। ধমকধামক শুরু করেন আকাশ-শুভঙ্কর। রক্ষী জানিয়ে দেন, ওই দুই ছাত্রের সঙ্গীরা বহিরাগত। তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। অভিযোগ, তার পরেই স্বমূর্তি ধরেন ওই দুই ছাত্র। গোবিন্দবাবুকে মাটিতে ফেলে শুরু হয় মারধর। সঙ্গে আস্ফালন। গুরুতর আহত হন রক্ষী। তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে যান নার্গিস বিবি নামে এক মহিলা রক্ষী। নিগৃহীত হন তিনিও। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে নার্গিস জানান, ওই ছাত্রেরা তাঁকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমরা ছাত্র ইউনিয়নের দাদা। আমাদের চিনে রাখো।’ বারাসতের বাসিন্দা অভিযুক্ত আকাশের বক্তব্য, অকারণে তাঁদের আটকানোর চেষ্টা চলছিল। তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করেন। তবু রক্ষীরা কেন তাঁকে চিনে উঠতে পারলেন না, সেটাই আশ্চর্যের!

বাইরের দলবল নিয়ে তাঁরা কেন কলেজে ঢুকতে চেয়েছিলেন, তার জবাব দিতে পারেননি দুই অভিযুক্ত ছাত্র। মহিলা রক্ষীর অভিযোগ, ওই দুই ছাত্রের এ দিন কোনও ক্লাস ছিল না। তবু তাঁরা বাইরের ছেলেদের নিয়ে কলেজে ঢুকতে চাওয়ায় বাধা দেওয়া হয়েছিল। রক্ষী ওই সঙ্গীদের আটকে দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দুই ছাত্র।

‘‘কলেজে গোলমাল আর সহ্য করা হবে না। পুলিশ তদন্ত করছে। এ বার শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি ব্যবস্থা নেবে,’’ বললেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম দাশগুপ্ত। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বহিষ্কার পর্যন্ত করা হতে পারে বলে এ দিন ইঙ্গিত দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Injured Guards Barasat College
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE