ছবি সংগৃহীত।
পুজোর আয়োজকদের পর মুখ্যমন্ত্রীর উপহার এ বার বাইকচালকদের জন্য। এবার থেকে আর কোনও বাইকচালককে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজাতে টোল দিতে হবে না। বৃহস্পতিবার এ কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন নবান্নে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাইক-স্কুটারের মতো টু-হুইলারের জন্য অকারণ ব্যাপক যানজট হচ্ছে বিদ্যাসাগর সেতুতে। তাতে দূষণও বাড়ছে। সেই কারণেই রাজ্য সরকারের রাজস্ব ক্ষতি মেনে নিয়েও বাইক এবং স্কুটারের টোল মকুবের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।’’ আগামী পয়লা অক্টোবর থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হবে।
দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজাটি রাজ্য সরকারের। কারণ, সেতুটি হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স (এইচআরবিসি)-এর। এখন বাইকচালকদের সেতু পেরোতে পাঁচ টাকা করে টোল দিতে হয়।এইচআরবিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজাতে প্রায় ৮৪ লাখ বাইক-স্কুটারের কাছ থেকে টোল আদায় করা হয়েছিল। এ বছরে সংখ্যাটা প্রায় ৯০ লাখ হবে, এমনটাই আশা এইচআরবিসি কর্তৃপক্ষের। আর সেখান থেকে রাজ্য সরকারের আয় হয় প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। সেই রাজস্ব ক্ষতি যদিও সেতুর উপর যানজট কমানোর স্বার্থে মেনে নিতে রাজি রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন- শিকাগো যেতে না পারা ‘অশুভ চক্রান্ত’: মমতা
আরও পড়ুন- বিদেশে গেলে কাজ চালাতে কমিটি মমতার
কিন্তু পুলিশের একাংশ এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো শঙ্কিত। কারণ, এই টোল প্লাজাতে নজরদারি করেই বিভিন্ন সময়ে বাইক চুরি এবং বিভিন্ন ধরনের অপরাধী ধরতে সাফল্য পেয়েছে পুলিশ। সেখানে বাইকচালকদের আলাদা লেন করে দিলে এবং তাঁদের টোল দিতে না হলে, সেই ফাঁক গলে দুষ্কৃতীরাও চম্পট দেবে আশঙ্কা গোয়েন্দাদের। কলকাতা এবং হাওড়া পুলিশ তাই টোল প্লাজাতে নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy