Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

ই-বর্জ্য নিয়ে সচেতনতা তৈরির নির্দেশ ইউজিসি’র

 ই-বর্জ্য বলতে বোঝায় পরিত্যক্ত বৈদ্যুতিন বা ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম।  মূলত পরিত্যক্ত কম্পিউটার, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, ফ্যাক্স মেশিন, প্রিন্টার, মাইক্রোওয়েভ, ওয়াশিং মেশিন, এ সব থেকেই তৈরি হচ্ছে এই ই-বর্জ্য।

ই-ওয়েস্ট নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর নির্দেশ ইউজিসি-র।

ই-ওয়েস্ট নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর নির্দেশ ইউজিসি-র।

মধুমিতা দত্ত
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:৪৩
Share: Save:

ইলেকট্রনিক বর্জ্য বা ই-বর্জ্য নিয়ে চিন্তিত গোটা দুনিয়া। এ বার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে এই ই-বর্জ্যের ক্ষতিকর দিক নিয়ে সচেতনতা তৈরির নির্দেশ দিল।

ই-বর্জ্য বলতে বোঝায় পরিত্যক্ত বৈদ্যুতিন বা ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম। মূলত পরিত্যক্ত কম্পিউটার, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, ফ্যাক্স মেশিন, প্রিন্টার, মাইক্রোওয়েভ, ওয়াশিং মেশিন, এ সব থেকেই তৈরি হচ্ছে এই ই-বর্জ্য। ই-বর্জ্যের সংস্পর্শে লাগাতার থাকলে স্নায়ু, মস্তিষ্ক, ফুসফুস, যকৃত-সহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি হয় বলে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন।

অথচ দুনিয়া জুড়ে বেড়ে চলা ই-বর্জ্য কোথায় যাবে, কীভাবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা হবে সে নিয়ে উদ্যোগ এখনও আশানুরূপ নয় বলে বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ। প্রসঙ্গত, বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের এক সমীক্ষা অনুযায়ী, বছরে ২০ লক্ষ টন ই-বর্জ্য তৈরি হয় ভারতে। তার মধ্যে ৯.৮ শতাংশ তৈরি হচ্ছে এ রাজ্যে। কিন্তু এ রাজ্যে সংগঠিত কোনও ই-বর্জ্য কেন্দ্র এখনও তৈরি হয়নি।

ইউজিসি সচিব রজনীশ জৈনের পাঠানো নির্দেশে বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রক এই বিষয়ে সচেতনতা কর্মশালার আয়োজন ২০১৫ সাল থেকে করে আসছে। সেখানে ই-বর্জ্য নিয়ে কী করা হবে সে নিয়ে সচেতনতার জন্য তালিম দেওয়া হয়। পোস্টার, তথ্য চিত্র-সহ বিভিন্ন উপাদানও দেওয়া হয়। এই সচেতনতা কর্মসূচি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও অনুসরণ করে পড়ুয়াদের সচেতন করার পথে এগোক।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যও শুক্রবার জানালেন ই-বর্জ্য নিয়ে সচেতন হওয়ার সময় এসে গিয়েছে। এ বিষয়ে যাদবপুরে একাধিক কর্মশালা, সেমিনারের আয়োজন করা হলেও এ নিয়ে কোনও স্থায়ী প্রকল্প এখনও গ্রহণ করা হয়নি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীববাবু জানালেন, ইউজিসি’র নির্দেশ এলে অবশ্যই এ নিয়ে তাঁরা সচেতনতা কর্মসূচি গ্রহণ করবেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন এবং তথ্য-প্রযুক্তির শিক্ষক অম্লান চক্রবর্তী জানালেন, ইউজিসি’র নির্দেশ অত্যন্ত সময়োপযোগী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও তাঁরা ই-বর্জ্যের বিষয় নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

UGC E-Waste Awareness
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE