ফাইল চিত্র।
প্রশ্নপত্র তৈরিতে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সেই সতর্কতার বন্দোবস্তে পরোক্ষে শিক্ষকদের বিশ্বাসযোগ্যতাকেই
প্রশ্নের সামনে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই কারণে লিখিত ভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরির দায়িত্ব (মডারেশন) থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন শিক্ষকদের অনেকে। তবে শিক্ষকদের আর একটি অংশের দাবি, বাড়তি সতর্কতার বন্দোবস্ত মোটেও অবমাননাকর নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে দ্বারভাঙ্গা ভবনের একটি ঘরে ‘মডারেশন’-এর কাজ চলে। এ বছর থেকে স্নাতকোত্তর স্তরের প্রশ্নপত্র তৈরির ক্ষেত্রে কিছু বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে মোবাইল বাইরে রেখে যাওয়া এবং প্রশ্নপত্র তৈরির সময়ে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন শিক্ষকদের অনেকে।
উদ্ভিদবিদ্যার শিক্ষক রীতা কুণ্ডুর মতে, মোবাইল বাইরে রেখে যাওয়া মানে তাঁদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। ‘‘এখানেই তো বিশ্বাস ও ভরসা কাজ করে। এই পদক্ষেপ আমরা ব্যথিত। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে যেন আমাদের এই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।’’ অন্য এক শিক্ষক বলেন, ‘‘প্রশ্নপত্র ফাঁস করার হলে আমাদের স্মৃতিতে যা থাকে সেখান থেকেই করা যায়।’’
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন কুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থিব বসুর মতে, এটা শিক্ষকদের সম্মানে আঘাত। এ ছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি থাকায় গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উচিত বিষয়টি বিবেচনা করা।
তবে শাসক দলের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা-র সাধারণ সম্পাদক সুজয় ঘোষ বলেন, ‘‘সময় পরিবর্তনের সঙ্গে শিক্ষকদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য এবং পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে কর্তৃপক্ষ যে সমস্ত পদক্ষেপ করেছেন সেটার সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে।’’
এ ব্যাপারে উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। পরীক্ষা নিয়ামক জয়ন্ত সিংহের মোবাইল বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy