ফাইল চিত্র।
পদোন্নতি হয়েও পদাবনতি! এমনই ঘটনা ঘটেছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)-তে।
প্রশাসনিক কর্মিবর্গ দফতর থেকে ডেপুটেশনে কলকাতা মেট্রোপলিটন ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন অথরিটি (কেএমডব্লিউ অ্যান্ড এসএ)-তে অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি (ওএসডি) এবং এক্স অফিসিও উপসচিব পদে আসেন ডব্লিউবিসিএস অফিসার রানা রায়। ‘কেএমডব্লিউ অ্যান্ড এসএ’ নগরোন্নয়ন দফতরের অধীনস্থ। এর মাঝেই ‘কেএমডব্লিউ অ্যান্ড এসএ’-র সঙ্গে কেএমডিএ-র সংযুক্তিকরণ ঘটে। বলা হয়, ‘কেএমডব্লিউ অ্যান্ড এসএ’-তে সংশ্লিষ্ট অফিসার যে র্যাঙ্কে ছিলেন, সংযুক্তিকরণের পরে কেএমডিএ-তে তিনি সেই পদেই যাবেন।
২০১৭-র মার্চের শেষে কেএমডিএ-র যুগ্মসচিব হন রানা। পরের মাস থেকে তিনি যুগ্মসচিব হিসেবে কাজ শুরু করেন। অথচ তাঁর গ্রেড পে যা, তাতে উপসচিব হিসেবেই তাঁর কাজ চালানোর কথা বলে মত আধিকারিকদের একাংশের। এই পরিস্থিতিতে সপ্তাহখানেক আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে কেএমডিএ-র সিইও সঞ্জয় বনশল রানার পদোন্নতি সংক্রান্ত সমস্ত নির্দেশিকা বাতিল করে তাঁকে উপসচিব হিসেবেই কাজ করতে বলেছেন।
যদিও রানার বক্তব্য, ‘‘আমি আগেও উপসচিব ছিলাম। এখনও তা-ই।’’ তাঁর কথায়, ‘‘উপসচিব এখানে যুগ্মসচিব হিসেবে কাজ করতে পারেন। আবার উপসচিব হিসেবেও কাজ করতে পারেন। যুগ্মসচিব হিসেবে একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি
হয়েছিল। সেই হিসেবে কাজ করেছি।’’
প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রক্রিয়ায় গর্হিত কোনও অপরাধ প্রমাণিত হলে তাঁর পদাবনিত হয়। আদালতের নির্দেশেও পদাবনতি হতে পারে। এর বাইরে অন্য কোনও পরিস্থিতিতে পদাবনতির কথা প্রশাসনের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত কর্তারা মনে করতে পারছেন না। যদিও রানার দাবি, ‘‘এমন ঘটনা আগেও হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy