বিক্ষোভ: প্রেসিডেন্সির রেজিস্ট্রারের ঘরের সামনে পড়ুয়ারা। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র।
শুধু যাদবপুর আর প্রেসিডেন্সিতেই এত গোলমাল কেন, সবিস্ময় প্রশ্ন তুলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিস্তর টানাপড়েনের পরে প্রবেশিকা নিয়ে যাদবপুরে ঘেরাও পর্ব আপাতত মিটেছে ঠিকই। কিন্তু দু’দিন ধরে প্রেসিডেন্সিতে কিছু পড়ুয়ার ঘেরাও অব্যাহত।
ভর্তির কাউন্সেলিংয়ে স্বচ্ছ মেধা-তালিকা প্রকাশ এবং ফি মকুবের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রেজিস্ট্রার, একাধিক ডিন-সহ অন্তত ৪০ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীকে ঘেরাও করে রেখেছেন পড়ুয়াদের একাংশ। আন্দোলনকারীদের মধ্যে প্রাক্তন পড়ুয়ারাও রয়েছেন। শুক্রবার দফায় দফায় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হলেও সমাধানসূত্র মেলেনি। রাতের আলোচনায় কর্তৃপক্ষ শনিবার দুপুর পর্যন্ত সময় চান বলে জানান এক পড়ুয়া। আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দেন, মেধা-তালিকা প্রকাশের আগে পর্যন্ত ঘেরাও চলবে।
ভর্তির দায়িত্ব রয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। তারাই কাউন্সেলিংয়ের রেজিস্ট্রেশন ফি ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করেছে। এ ভাবে ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকে বিজ্ঞান বিভাগের ডিন অরবিন্দ নায়েকের (ভর্তি প্রক্রিয়ায় যুক্ত) ঘরের সামনে অবস্থানে বসে এসএফআই। তারা লিফট এবং সিঁড়ি আটকে বসে থাকায় নীচে নামতে পারেননি রেজিস্ট্রার, ডিন এবং কর্মীরা।
এ দিন দফায় দফায় রেজিস্ট্রারের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। ফি-র ব্যাপারে রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার বলেন, ‘‘উপাচার্যের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, দারিদ্রসীমার নীচে থাকা প্রার্থীদের এবং নিয়ম অনুযায়ী যাঁদের ফি কমানোর কথা, তাঁদের ক্ষেত্রে সেটাই করা হবে।’’ তার পরেও অবস্থান ওঠেনি। উল্টে শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে পড়ুয়াদের তর্কাতর্কি ও গোলমাল শুরু হয়। কর্মীরা পাল্টা হুমকি দেন, তাঁরাও অবস্থানে বসবেন। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি এ ব্যাপারে কিছু বলব না। যা বলার পার্থদা (শিক্ষামন্ত্রী) বলবেন।’’ শিক্ষামন্ত্রীকে ফোন করলেও তিনি কেটে দেন। জবাব দেননি মেসেজেরও।
জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহাকে ফোন করা হলে তিনি ফোন তোলেননি। ফোন তোলেননি রেজিস্ট্রারও। এক আন্দোলনকারী ছাত্রী বলেন, ‘‘শিক্ষাকর্মীদের কয়েক জনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কিছু কর্মী তেড়ে আসেন পড়ুয়াদের দিকে। এই অবস্থায় ঘেরাও থেকে সরে আসার কোনও প্রশ্ন নেই।’’ এ দিন দফায় দফায় চলে স্লোগান। বিশ্ববিদ্যালয়কে বাজারে পরিণত করতে দেওয়া হবে না বলে আওয়াজ তোলেন পড়ুয়ারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy