চলতি বছরেই মেয়াদ শেষ হওয়া ১৭টি পুরসভার ভোট নিয়ে ‘নিশ্চুপ’ রাজ্য। আর সে বিষয়ে ‘মনে করাতে’ রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে চিঠি দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
আগামী অক্টোবর, নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে রাজ্যের ১৭টি পুরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। পুর দফতর সূত্রের খবর, সেই সব পুরসভার ওয়ার্ড সংরক্ষণ এবং ডিলিমিটেশন সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের মতামত জানতে চেয়ে গত মে মাসের শেষ লগ্নে চিঠি দিয়েছিল কমিশন। দেড় মাস কাটতে চললেও তা নিয়ে কোনও জবাব দেয়নি পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। সে কারণে বিষয়টি নিয়ে সরকারকে ‘মনে করাতে’ মঙ্গলবার পুর দফতরে চিঠি দিল কমিশন। পাশাপাশি, আরও কয়েকটি পুরসভার পুনর্নির্বাচন রয়েছে। সে কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছে কমিশন। গত দেড় বছর কলকাতা পুরসভার ১১৭ নম্বরও ওয়ার্ড কাউন্সিলরহীন অবস্থাতেই রয়েছে। তা নিয়ে কমিশনের তরফে পাঁচটি চিঠি পেলেও একটির জবাব দেওয়া হয়নি পুর দফতরের তরফে।
১৭টি পুরসভা, বিভিন্ন পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডের পুনর্নির্বাচন এবং ১১৭ নম্বরের ওয়ার্ডের পুনর্নির্বাচন—তিনটি বিষয়েই একসঙ্গে উল্লেখ করে পুর দফতরে চিঠি দিয়েছে কমিশন। এই তিনটি ক্ষেত্রে কমিশন আগে কিভাবে পুর দফতরকে অবহিত করেছে, তার বিস্তারিত তথ্যও সেখানে কমিশন উল্লেখ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর।
প্রথমে নভেম্বরে ভোট করাতে আগ্রহী ছিল পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এখন তা পিছিয়ে ডিসেম্বর করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে দফতর। তা আলোচনার স্তরে রয়েছে বলে খবর। সে কারণেই এখনই কমিশনকে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি বলে সূত্রের খবর। রাজ্যের এহেন অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ডিসেম্বরে পুরভোট হলে অক্টোবর এবং নভেম্বরে মেয়াদ ফুরোনো পুরসভায় প্রশাসক বসিয়ে কাজ চালাতে হবে রাজ্য সরকারকে। এর আগেও বর্তমান সরকারের জমানায় একাধিক পুরসভায় প্রশাসক বসিয়ে কাজ চালানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ওয়ার্ড সংরক্ষণ এবং ডিলিমিটেশনের জন্য প্রায় দু’মাস সময় লাগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy