কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়।
আসল রেজিস্ট্রার কে, তা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই টানাপড়েন চলছিল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে। মঙ্গলবার উপাচার্য শঙ্করকুমার ঘোষ নির্দেশনামা দিয়ে জানালেন, তাঁর মনোনীত সুভাষ সরকারই রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করবেন। সহ-উপাচার্যের কথায় আগের রেজিস্ট্রারকে পুনর্বহাল করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা বাতিল করা হল। আপাতত ধোঁয়াশা কাটলেও উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের দ্বন্দ্ব জিইয়ে রইল বলে মনে করছেন অধ্যাপক ও শিক্ষাকর্মীদের একাংশ।
১৭ জানুয়ারি আগের রেজিস্ট্রার দেবাংশু রায়কে ছুটিতে পাঠিয়ে বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষক সুভাষ সরকারকে কার্যকরী রেজিস্ট্রার পদে বসান উপাচার্য। কিন্তু ২০ জানুয়ারি সহ-উপাচার্য গৌতমকুমার পাল নির্দেশ জারি করে দেবাংশুবাবুকে রেজিস্ট্রার হিসেবে পুনর্বহাল করেন। কী করে তাঁকে টপকে সহ-উপাচার্য নির্দেশ দেন, তার লিখিত জবাব চান উপাচার্য। সেই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তি। তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা সহ-উপাচার্যকে সমর্থন করছে। বামমনস্ক শিক্ষকদের একাংশ উপাচার্যের পাশে। এ দিন বামমনস্ক কর্মচারীরা উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে জানান, একই পদে দু’জন থাকবেন, তা কাঙ্ক্ষিত নয়। গত কয়েক দিন ধরে সুভাষবাবু ও দেবাংশুবাবু দু’জনেই কর্মচারীদের থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত বিভিন্ন কাগজপত্র চাইছিলেন। তাঁরা বুঝতে পারছেন না, রেজিস্ট্রার হিসেবে কার কথা শুনবেন। বিকেলে আবার ওয়েবকুপার রাজ্য সভাপতি কৃষ্ণকলি বসু বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন। সংগঠনের বক্তব্য, দিন কয়েক আগেই উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল এসেছিল। রেজিস্ট্রারের বিষয় তারা তদন্ত করছে। তাই এই নিয়ে তারা আন্দোলনে নামছে না। উপাচার্য বলেন, ‘‘আগের রেজিস্ট্রারকে সরানোর পরে পুনর্বহাল করা নিয়ে অহেতুক জটিলতা হচ্ছিল। নির্দেশ জারি করে তা স্পষ্ট করেছি।’’ দেবাংশু রায় বলেন, ‘‘উচ্চশিক্ষা দফতর যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই চূড়ান্ত হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy