Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ভাত খাইয়ে দাবি, থাকব বিজেপিতেই

মাস খানেক আগে নকশালবাড়ি থেকে এই ধারা চালু করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। শুক্রবার নৈহাটির মোদী মেলায় যাওয়ার আগে বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ ও লকেট চট্টোপাধ্যায় আমডাঙার একটি গলিত পরিবারে ভাত খান। এ বার সেই দলে নাম জুড়ল ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের। তাঁর সঙ্গে কলাপাতায় খেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও।

পাত-পেড়ে: শাঁকারি গ্রামে শম্ভু পুইলির বাড়িতে নেতারা। নিজস্ব চিত্র

পাত-পেড়ে: শাঁকারি গ্রামে শম্ভু পুইলির বাড়িতে নেতারা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৭ ০২:৩০
Share: Save:

মাস খানেক আগে নকশালবাড়ি থেকে এই ধারা চালু করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। শুক্রবার নৈহাটির মোদী মেলায় যাওয়ার আগে বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ ও লকেট চট্টোপাধ্যায় আমডাঙার একটি গলিত পরিবারে ভাত খান। এ বার সেই দলে নাম জুড়ল ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের। তাঁর সঙ্গে কলাপাতায় খেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও।

শনিবার দুপুরে খণ্ডঘোষের শাঁকারি গ্রামে পৌঁছয় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। কনভয়ের সঙ্গেই ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্যূতিমান ভট্টাচার্য ও অন্য কর্তারা। শাঁকারি গ্রামে ছোট মিছিল সেরে রঘুবরবাবু পৌঁছে যান খেতমজুর শম্ভু পুইলের বাড়িতে। অ্যাসবেসটসের চাল, মাটির গাঁথনি দেওয়া বাড়ির বারান্দায় পাত পেড়ে বসে পড়েন তিনি। পাশে থাকা রাজ্য সভাপতির জিজ্ঞাসা, “মাছ খাবেন তো?”, হেসে বলেন, “না, না, আমি সম্পূর্ণ শাকাহারী। ভাত অল্প দেবেন।” সঙ্গে সঙ্গে কলাপাতায় চলে আসে ভাত, শাক, বেগুন ভাজা, পটল ভাজা, আলুপোস্ত, পোস্তর বড়া, দই ও মিষ্টি। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী কিছুটা ভাত তুলে রেখে বাকিটা ডাল দিয়ে মাখিয়ে খেলেন। তাঁর পাশে ঠাঁই বসে ছিলেন বাড়ির কর্তা শম্ভুবাবু। বারবার হাত জোড় করে তিনি বলেন, ‘‘আর একটু খান!’’

বর্ধমান শহরে সাফাই। নিজস্ব চিত্র

এ দিন সকালে বিজেপির কর্মসূচি শুরু হয় রাজবাটির সামনের রাস্তা ঝাঁট দিয়ে। তারপর তাঁরা চলে যান ভাতারের বামুনপাড়া পঞ্চায়েতের রতনপুর গ্রামের দাসপাড়ায়। সেখানে প্রচুর মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে শাঁখ বাজিয়ে অভ্যর্থনা জানান। পুষ্প দাস, রমা দাসেরা অভিযোগ করেন, “রান্নার গ্যাস, পাকা ঘর তো দূর, সরকারের কোনও সুবিধাই তাঁরা পান না।” এ ছাড়াও বেহাল রাস্তা, বিদ্যুৎ নিয়েও ক্ষোভ জানান তাঁরা। জানা যায়, গোটা গ্রামে মাত্র ৫ জন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পেয়েছেন। সব শুনে রঘুবরবাবু বলেন, “কেন্দ্র সরকারের কোনও প্রকল্পই তৃণমূল রূপায়ণ করছে না। এ রাজ্যকে গরিবই রাখতে চায় তৃণমূল।”

পরে ভাতার থেকে প্রায় ষাট কিলোমিটার দূরে খণ্ডঘোষের শাঁকারি গ্রামে দুপুরে খাওয়ার পরে তিনি বলেন, “আমরা গরিব মানুষের কল্যাণ চাই। সামাজিক ভাবেও তাঁদের পাশে রয়েছি। তবে তৃণমূল গরিব মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে।” তৃণমূলকে ‘সবক’ শেখাতে পঞ্চায়েত ভোটকে হাতিয়ার করার পরামর্শ দেন তিনি।

নকশালবাড়িতে অমিত শাহকে বাড়িতে ডেকে খাওয়ানোর পরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন রাজু ও গীতা মাহালি। এখানেও তেমন কিছু হবে না তো? স্ত্রী লক্ষ্মী পুইলেকে পাশে নিয়ে শম্ভুবাবু বলেন, “যত চাপই আসুক, বিজেপিতে আছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bjp বিজেপি
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE