রাস্তা অবরোধ। নিজস্ব চিত্র
ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র দু’পক্ষের গন্ডগোলের জেরে গুলি চলল মাঠে। রবিবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ থানার ছ’য়ানি গ্রামের নিউ ব্রাইট ক্লাবের মাঠে খেলা চলাকালীন দু’পক্ষের বচসা বাধে। গুলি চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খেলা বন্ধ করে দেয়।
উদ্যোক্তা-সহ স্থানীয় বাসিন্দারা গুলি চালানোর ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, লকডাউনের মধ্যে খেলার অনুমতি দিল কেন পুলিশ? এর কিছু দিন আগে হিঙ্গলগঞ্জেও ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন হয়েছিল লকডাউন ভেঙেই। বসিরহাট জেলা পুলিশের সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, ‘‘মিনাখাঁয় খেলার অনুমতি আমাদের কাছে চাওয়া হয়নি। খতিয়ে দেখা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ কিন্তু ঢাকঢোল পিটিয়ে টুর্নামেন্টের আয়োজন হল, দূরত্ববিধির তোয়াক্কা না করে শয়ে শয়ে লোক ভিড় করলেন, সে কথা জানতে পারল না কেন পুলিশ, সে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার সচেতন মানুষজন। স্থানীয় বামনপুকুর পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের মতে, তাঁদের থেকেও অনুমতি নেওয়া হয়নি।
কী হয়েছিল মিনাখাঁয়?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইদ উপলক্ষে ওই মাঠে আট দলের নক আউট ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়েছিল। ভিড় ছিল ভালই। রেফারির একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলা বেধে যায়। এক যুবক গাড়িতে করে এসে মাঠে ঢুকে শূন্যে ২ রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গোলমালের মধ্যে পালাতে গিয়ে পড়ে চোট পান দর্শকদের কেউ কেউ।
অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে মিনাখাঁর বাবুরহাট রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি, ইট ফেলে অবরোধ করেন এলাকার মানুষজন। পুলিশের প্রতিশ্রুতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ক্লাবের সভাপতি মোকারম গাজি বলেন, ‘‘খেলোয়াড়দের মধ্যে গন্ডগোল হলে আমরা তা মিটিয়ে দিই। কিন্তু এই গোলমালের সময়ে এক যুবক কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে ঢুকে হঠাৎই গুলি ছুড়তে শুরু করে। তা দেখে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে সে পালায়।’’ কিন্তু লকডাউন ভেঙে টুর্নামেন্ট হল কেন? কর্মকর্তাদের দাবি, গ্রামের মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে এই খেলার সঙ্গে। তাই পূর্বঘোষিত টুর্নামেন্ট বাতিল করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy