বাঁশ বেয়ে নামবে ঝুরি। শান্তিনিকেতনের পুরনো ঘণ্টাতলার সামনে। নিজস্ব চিত্র
বটের ঝুরির শেষ অংশ দড়ি দিয়ে বাঁশে বেঁধে ছোঁয়ানো হয়েছে মাটি। সোমবার শান্তিনিকেতনের গৌড়প্রাঙ্গণে পুরনো ঘণ্টাতলার সামনে এমনটা দেখে থমকে গেলেন কিছু পর্যটক। এগিয়ে গিয়ে খুঁটিয়ে দেখলেন। ঝটপট ছবিও তুললেন।
এমন দৃশ্যের দেখা মিলবে ঘণ্টাতলা ছেড়ে একটু এগিয়ে বাঁ-দিকে কিংবা উপাসনাগৃহের সামনে থাকা বটটির ক্ষেত্রেও। বট বাঁচাতে এমন ভাবনা বিশ্বভারতীর উদ্যান বিভাগের। ঝুরি খুব তাড়াতাড়ি মাটি ছুঁইয়ে দিতেই এই উদ্যোগ। উদ্যান বিভাগ জানাচ্ছে, অনেক আগেই বটগাছ চিহ্নিত করে কাজ শুরু হয়েছিল।
কিছু দিন আগে নববর্ষ এবং রবীন্দ্রজন্মোৎসবের অনুষ্ঠান পুরনো ঘণ্টাতলা ও মাধবীবিতানে হয়। সেই সময় কিছু বাঁশ খুলে নেওয়া হয়েছিল। সামনেই বর্ষা। তাই আর দেরি না করে ফের ঝুরিতে বাঁশ বাঁধার কাজ শুরু হয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
গত সোমবার শান্তিনিকেতন রোডের লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের কাছে শতাধিক বছরের পুরনো বটগাছ উপড়ে যায়। তখনই জানা গিয়েছিল, বটের ঝুরি মাটিতে না মিশলে এমন বিপর্যয় ঘটতেই পারে। উদ্যান বিভাগের অধীক্ষক সঞ্জীব মণ্ডল জানান, বটের বয়স ৪০ পেরোলে প্রধান মূল নষ্ট হয়ে যায়। তখনই ঝুরি বের হয়। তা মাটির গভীরে গিয়ে গাছকে শক্ত করে ধরে রাখে। তাই ঝুরির মাটি ছোঁয়া ভীষণ জরুরি।
আশ্রম এলাকায় এমন বটের সংখ্যা একাধিক। তার মধ্যে উপাসনাগৃহের সামনের বটগাছে চারটি, পুরনো ঘণ্টাতলার বটে পাঁচটি, আর একটু এগিয়ে বাঁ-দিকে থাকা গাছে আটটি বাঁশ ঝুরির সঙ্গে বাঁধা হয়েছে। পড়ুয়াদের অনেকের মত, বটের ঝুরি নিয়ে এই তথ্য অনেকে জানেন না। অনেক সময় দেখা যায় কচিকাঁচারা ঝুলছে। তাতে ছিঁড়ে যায় ঝুরি। তাঁদের প্রস্তাব, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঝুরির মাটি ছোঁয়ার বিষয়টি জানানো হোক। তাতে বুঝতে পারবেন পর্যটকেরাও। সঞ্জীববাবুর কথায়, ‘‘তিনটে বটকে উপড়ে যেতে দেখলাম। কোনও বাধা না থাকলে ঝুরির মাটি ছুঁতে সমস্যা হয় না। যেখানে সমস্যা আছে, সেখানেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy