ছবি: সংগৃহীত।
রাতের অন্ধকারে রবীন্দ্রভবনের পিছনের জঙ্গলের শুকনো পাতায় নড়াচড়ার আওয়াজ শুনেছিলেন নিরাপত্তাকর্মীরা। দুষ্কৃতী-হানার শঙ্কায় শূন্যে দু’রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন তাঁরা। মঙ্গলবার গভীর রাতের ওই ঘটনার কথা শুক্রবার জানানো হল শান্তিনিকেতন থানায়।
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, সে দিন রবীন্দ্রভবনের পিছনের দিকে মোতায়েন ছিলেন দু’জন সশস্ত্র রক্ষী। মাঝরাতে জঙ্গলে সন্দেহজনক আওয়াজ শুনতে পান তাঁরা। শূন্যে গুলি চালানোর পরে অন্য নিরাপত্তাকর্মীরা সেখানে পৌঁছে তল্লাশি চালালেও সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। কী কারণে গুলি চালানো হল, তার উত্তর বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা বিভাগের তরফে মেলেনি। এক নিরাপত্তা আধিকারিক বলেন, ‘‘বিষয়টি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে জানানো হয়েছে।’’ কেন দু’দিন পরে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হল, তা নিয়ে বিশ্বভারতীর যুক্তি, বুধ ও বৃহস্পতিবার অফিস ছুটি থাকায় শুক্রবার থানায় ঘটনার কথা জানানো হয়।
বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনার জেরে রবীন্দ্রভবনের পিছনের দিকের জঙ্গল ও আগাছা সাফাই করা হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় অতিরিক্ত আলোর ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। রবীন্দ্রভবনের পিছনের অংশে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যাও।
এর আগেও দুষ্কৃতী-হানার ঘটনা ঘটেছে রবীন্দ্রভবনে। ২০০৪ সালের মার্চ মাসে রবীন্দ্রভবনের একতলার সংগ্রহশালা থেকে চুরি গিয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পদক। আজও যা উদ্ধার হয়নি। নিরাপত্তার গাফিলতিতে ওই কাণ্ড ঘটে বলে অভিযোগ ওঠে। বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, সেই সময় রবীন্দ্রভবন চত্বরে স্থায়ী কয়েক জন কর্মী নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। নোবেল চুরির পরে নড়েচড়ে বসেন কর্তৃপক্ষ।
বাড়ানো হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সেই নিরাপত্তা বলয়ের চোখ এড়িয়েই রবীন্দ্রভবনের কাঁটাতারের বেড়ার ফাঁক দিয়ে ঢুকে ওই চত্বরে থাকা চন্দন গাছ কেটে পাচারের চেষ্টা করা হয়েছিল। তার পর পরেই মঙ্গলবার রাতে দুষ্কৃতী-হানার আশঙ্কায় শূন্যে চলল গুলি।
পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy