Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ভোটার কার্ডেই হোক ভোট, কমিশনে বাম

সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের দাবিতে এক সময় ‘মহাকরণ অভিযান’ করেছিলেন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার রাজপথে সেই ২১ জুলাই পুলিশের গুলি এবং তার জেরে প্রাণহানি হয়েছিল ১৩ জনের।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৩১
Share: Save:

সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের দাবিতে এক সময় ‘মহাকরণ অভিযান’ করেছিলেন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার রাজপথে সেই ২১ জুলাই পুলিশের গুলি এবং তার জেরে প্রাণহানি হয়েছিল ১৩ জনের। অন্য যুগে, পরিবর্তনের জমানায় ভোট দেওয়ার সময় সচিত্র পরিয়চপত্র বাধ্যতামূলক করার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল সিপিএম!

রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধন ও নতুন নাম তোলার কাজ শুরু হয়েছে এখন। তার আগে সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) ডাকা সর্বদল বৈঠকে বামফ্রন্টের নেতারা অভিযোগ করেছেন, বিধানসভা নির্বাচনে ভোটার কার্ডের বদলে অন্য এমন সব পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভোট দেওয়া হয়েছে, যেখানে ছবি ছিল না। সেই সুযোগে শাসক দল কারচুপি করেছে। এই প্রশ্নে তৃণমূলের দুই প্রতিনিধি সুব্রত বক্সী ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিতণ্ডা বাধে বাম নেতাদের। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেব সওয়াল করেন, এ রাজ্যে ৯৯.৯৪% ভোটারের সচিত্র পরিচয়পত্র আছে। কমিশনের তরফে বলা হয়, ১০০% ভোটারই ওই পরিচয়পত্র (এপিক) পেয়েছেন। রবীনবাবুরা প্রশ্ন তোলেন, তা হলে হারিয়ে যাওয়া বা অন্য কোনও বিশেষ কারণ ছাড়া এপিক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে না কেন? তৃণমূলের সঙ্গে বিতণ্ডার জেরে বাম নেতারা বৈঠক ছেড়ে বেরিয়েও এসেছিলেন।

বামফ্রন্টের বৈঠকে বুধবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পরে দিল্লির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে এই মর্মে চিঠি দিয়েছেন বিমান বসুরা। রবীনবাবুর কথায়, ‘‘এই ব্যাপারে আইনে স্পষ্ট নির্দেশ আছে। আদালতের কিছু রায়ও আছে। এপিক থাকা সত্ত্বেও অন্য কিছু দেখিয়ে ভোটদানের সুযোগ রাখা হবে কেন?’’ তৃণমূলের এক রাজ্য নেতার আবার পাল্টা মন্তব্য, ‘‘ভোটে হেরে ওঁরা নানা অজুহাত খাড়া করছেন! আইনে যা আছে, তা-ই হবে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Voter card LF
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE