বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকের আগেই রাজ্য রাজনীতিতে চাপান-উতোর একটা মাত্রা পেল। ছবি: সংগৃহীত।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গকে বক্তব্য পেশের সুযোগ না-দেওয়া নিয়ে সরব হল তৃণমূল। তৃণমূলকে বিঁধে পাল্টা কটাক্ষ করল বিজেপিও। ফলে আজ, বুধবার এই বৈঠকের আগেই রাজ্য রাজনীতিতে এই চাপান-উতোর একটা মাত্রা পেল।
দু’দফায় এই বৈঠকের শেষ দিনে আজ পশ্চিমবঙ্গের থাকার কথা। তবে রাজ্যকে বক্তব্য পেশের কোনও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তা নিয়েই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বাংলার সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ করেছে শাসক দল। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রের কাছে আমাদের ৫৩ হাজার কোটি টাকা পাওনা। আমপানে এক লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতির পরেও তারা দিচ্ছে মাত্র এক হাজার কোটি। কেন্দ্রীয় সরকার ভয় পাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যকে বলার সুযোগ দিলে তা দেশের মানুষ জানতে পারবেন।’’ এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, ‘‘এ রাজ্যের মানুষের প্রতি কেন্দ্র বিমুখ। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে দিতে যদি ভয় থাকে, তাঁকে ডাকা হল কেন?’’ টুইটে একই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীও।
তবে এতে আমল দিতে চায়নি রাজ্য বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এ-পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছ’বার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তার মধ্যে কত বার মুখ্যমন্ত্রী অংশ নিয়েছেন? ভিডিয়ো কনফারেন্সে উনি থাকেন না। পশ্চিমবঙ্গের মানুষই ওঁর কথা শুনতে চান না। আর প্রধানমন্ত্রী কেন শুনবেন? উনি সংবাদে থাকতে চান।’’ দিলীপবাবুর এই কটাক্ষের জবাবে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘অর্ধশিক্ষা অশিক্ষার থেকেও ভয়ঙ্কর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক ভিডিয়ো কনফারেন্সে অংশ নিয়েছেন। এবং যে-বিষয়ে আপত্তি জানানো প্রয়োজন, জানিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy