Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

কলকাতা ও ঢাকার নৌপথ খুলল চুক্তিতে

ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে নৌ চলাচলের প্রশ্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হল আজ। চালু হতে চলেছে কলকাতা-ঢাকা এবং গুয়াহাটি-জোড়হাট নদী-পর্যটন।

—প্রতীকী ছবি

—প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৮ ০০:১৬
Share: Save:

ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে নৌ চলাচলের প্রশ্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হল আজ। চালু হতে চলেছে কলকাতা-ঢাকা এবং গুয়াহাটি-জোড়হাট নদী-পর্যটন। এ ছাড়া চেন্নাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ক্রুজ পরিষেবা নিয়েও দু’দেশ আলোচনা করেছে। দু’দেশের কর্তাদের দাবি— আগামী মার্চের মধ্যেই এই নৌপথে যাতায়াত শুরু হয়ে যাবে।

পাশাপাশি আরও যে ক’টি চুক্তি হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর ব্যবহার করে উত্তর-পূর্বে ভারতীয় পণ্য পরিবহণের ছাড়পত্র, নৌপথে পণ্য চলাচল সুবিধার জন্য প্রচলিত প্রোটোকল সংশোধন করে ভারতের ধুবুড়ি এবং বাংলাদেশের পানাগাঁও বন্দরকে ‘পোর্ট অব কল’ হিসাবে চিহ্নিত করা। বাংলাদেশের নাকুগাঁও এবং ভারতের ডালু আইসিপি-র ল্যান্ডপোর্টগুলিকে চালু করে ভুটানের গেলেপচু-র সঙ্গে যুক্ত করে তিন দেশের মধ্যে বাণিজ্যের উদ্যোগ নিয়েও আজ সবিস্তার কথা হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের সচিবদের মধ্যে।

কূটনৈতিক শিবিরের মতে, নির্বাচনের আগে হাসিনা সরকারের সঙ্গে এই চুক্তিগুলি সেরে ফেলে নয়াদিল্লি ঢাকাকে এই বার্তাই দিতে চেয়েছে যে উন্নয়নমূলক কর্মসূচির প্রশ্নে ভারত তাদের পাশেই রয়েছে। বহু প্রতীক্ষিত তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়িত না-হওয়ার কারণে যথেষ্ট হতাশা তৈরি হয়েছিল ঢাকায়। শুধুমাত্র রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক স্তরে নয়, বাংলাদেশের মানুষের মধ্যেও সংক্রামিত হয়েছিল সেই হতাশা। আওয়ামি লিগ নেতৃত্বের অভিযোগ ছিল, তিস্তা চুক্তি রূপায়িত না হওয়ায় বাংলাদেশে ভারত-বিরোধিতা বাড়ছে। কিন্তু গত এক বছর ধরে লাগাতার কূটনৈতিক প্রয়াসে সাউথ ব্লক ঢাকাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক টানাপড়েনের কারণে হয়তো তিস্তা চুক্তি এখনই করা যাচ্ছে না, কিন্তু ভারত সরকার এ ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই চলছে। তবে তিস্তা না করতে পারলেও অন্যান্য বহু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরিকাঠামোগত উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে ভারত।

বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, এ দিন হওয়া চুক্তিগুলির ফলে ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েই উপকৃত হবে। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগ সহজ হবে। চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর ব্যবহার করার সুযোগ পাওয়ায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে বিভিন্ন দেশীয় পণ্য পাঠানো অনেক সহজ হবে। বিনিময়ে কলকাতা এবং হলদিয়া বন্দরকেও বাংলাদেশের জন্য খুলে দিতে রাজি ভারত। বাংলাদেশে তৈরি পোশাক যাতে এই দু’টি বন্দরের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যেতে পারে, সে জন্য সব রকম সহযোগিতা করতে ভারত তৈরি। তবে আজকের সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বিদেশ মন্ত্রক আশা করছে, দুই সরকারের আলোচনায় শীঘ্রই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Transport Water Kolkata Dhaka
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE