ঢেউ ভেঙে: জলবন্দি চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ। ভোগান্তি বাড়াল রাস্তায় ভেসে আসা পুজোমণ্ডপের ব্যারিকেডের বাঁশ। বুধবার। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
দুগ্গা দুগ্গা বলে প্রতিমা দর্শন নির্বিঘ্নে হয়েছে। তার পর বুধবারই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাংশকে ভাসিয়ে দিল বৃষ্টি। উত্তরবঙ্গ থেকে ওড়িশা পর্যন্ত বিস্তৃত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখার দৌলতে মঙ্গলবার রাত থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়।
আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হতে পারে। কাল, শুক্রবার থেকে আকাশ পরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মৌসম ভবনের খবর, উত্তর-পশ্চিম ভারতের একাংশ থেকে বর্ষা বিদায় নিতে শুরু করেছে। কিন্তু বঙ্গে বর্ষার বিদায়লগ্ন এখনও নিশ্চিত করে বলতে চাইছেন না আবহবিদেরা। তাঁদের মতে, বর্ষা যেমন দেশে ধাপে ধাপে ছড়ায়, তেমনই ধাপে ধাপে বিদায় নেয়। যদিও বর্ষাকে বিদায় জানানোর জন্য বায়ুপ্রবাহের বদল-সহ আবহজনিত যে উপাদানগুলি প্রয়োজন তা ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে।
আবহবিদেরা জানান, বাংলাদেশে থাকা একটি ঘূর্ণাবর্ত থেকে ওড়িশার ঘূর্ণাবর্ত পর্যন্ত নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। সাধারণত বায়ুমণ্ডলের যে এলাকায় বায়ুর চাপ কম থাকে, সেই এলাকাগুলিকে একটি কাল্পনিক রেখার দ্বারা যোগ করে নিম্নচাপ অক্ষরেখা চিহ্নিত করা হয়। তবে ওড়িশার ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপ অক্ষরেখা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। কারণ, আবহবিদদের বক্তব্য, বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্পের জোগান নেই। বরং বর্ষার বিদায়লগ্নে বায়ুপ্রবাহের অভিমুখ বদলাচ্ছে। তার ফলে ঠান্ডা, শুকনো হাওয়া ঢুকে ঘূর্ণাবর্ত ও অক্ষরেখাটিকে দুর্বল করে দেবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বলছেন, আজ, বৃহস্পতিবার থেকে অক্ষরেখা দুর্বল হতে শুরু করবে। শুক্রবার থেকে আকাশ পরিষ্কার হওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy