সকালের ঘন কুয়াশা কেটে বেলায় রোদের দেখা মিলবে, উত্তরবঙ্গে চলবে বৃষ্টিপাত। ছবি: শাটারস্টক।
নতুন বছরের শুরুতে হাতেগোনা কয়েক দিন ছাড়া এখনও পর্যন্ত তেমন জাঁকিয়ে ঠান্ডা উপভোগ করা হল না রাজ্যবাসীর। বরং এখনও পর্যন্ত নতুন বছরে বেশির ভাগটাই রাজ্যবাসীর প্রাপ্তি হয়ে রইল অকালবর্ষণ এবং ঘ্যানঘেনে মেঘলা আবহাওয়া। শুক্রবারও সেই আবহাওয়ার হাত থেকে নিস্তার মিলছে না রাজ্যবাসীর।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজ, শুক্রবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি থামলেও পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গে প্রায় সারা দিন ধরেই বৃষ্টি চলবে। দক্ষিণবঙ্গে চলবে মেঘ-রোদের খেলা। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সকালের দিকে ঘন কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের দেখা মিলেছে। তবে আকাশে হালকা মেঘ থাকায় রোদের তীব্রতা সে তুলনায় অনেকটাই কম।
বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ডিগ্রি কম। তাই দিনের বেলায় শীত.শীত ভাব থাকলেও রাতে কিন্তু জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েনি। বরং রাতের দিকে খানিকটা গরমভাবই অনুভব করা গিয়েছে। আলিপুর জানিয়েছে, শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে আবার দুই ডিগ্রি বেশি।
আরও পড়ুন: জেএনইউয়ের মিছিলে ফের লাঠি পুলিশের
কলকাতার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলাতেও শীত মুখ থুবড়ে পড়েছে। যেমন হাড় কাঁপানো ঠান্ডার জায়গা বলে পরিচিত বীরভূমের শ্রীনিকেতনে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাঁকুড়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আবার গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আরও পড়ুন: বোর্ডিং কার্ড নয়, মুখের ছবি তুলেও ওঠা যাবে বিমানে
তবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শনিবার এক ধাক্কায় তাপমাত্রা ফের কিছুটা নেমে যেতে পারে। ফিরে আসতে পারে শীতের অনুভূতি। পৌষ সংক্রান্তিতেও মোটামুটি শীত থাকবে বলে মনে করছেন আলিপুর হাওয়া অফিসের বিজ্ঞানীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy