ভাঙচুরের পর স্বেচ্ছায় অবরোধে আটকে ছিলেন তিনি। ছবি: সুব্রত জানা
দলীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণ শিবিরে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই কর্মসূচি ঘিরেই সোমবার ধুন্ধুমার কাঁথিতে। ভাঙচুর হল দিলীপবাবুর গাড়ি। আহত বিজেপির তিন কর্মী। তবে অক্ষত দিলীপবাবু।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনই এ দিন হামলা চালিয়েছে। দিলীপবাবু বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে আমরা অনেক সাফল্য পেয়েছি। তাই পুলিশ ও গুন্ডা বাহিনী দিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করছে।’’ তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী ও কাঁথির পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী দাঁড়িয়ে থেকে হামলায় নেতৃত্ব দেন বলেও অভিযোগ বিজেপি রাজ্য সভাপতির।
অভিযোগ উড়িয়ে দিব্যেন্দু বলেন, “যেখানে দিলীপবাবুরা সভা করলেন, সেই সমবায় সমিতির সম্পাদক কাঁথির পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী। আক্রমণের মনোভাব থাকলে সভার অনুমতি দিতাম?’’ তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘বিজেপির দ্বন্দ্বেই এই ঘটনা ঘটেছে।’’
কাঁথিতে দিলীপবাবুর ভাঙাচোরা গাড়ি। সোমবার। —নিজস্ব চিত্র
মাসখানেক আগে তমলুকের নিমতৌড়িতে এসে দলীয় কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন দিলীপবাবু। এ দিন সকাল দশটা নাগাদ গাড়ি থেকে নেমে দিলীপবাবু জনমঙ্গল সমবায় সমিতির সভাকক্ষের দিকে যাওয়ার সময় কয়েক জন তাঁকে কালো পতাকা দেখান।
দেখুন ভিডিয়ো:
গলায় বিজেপির দলীয় পরিচয়পত্র ঝোলানো ওই কর্মীদের অনুযোগ ছিল, ‘আমরা দুঃসময়ের কর্মী। আমাদের না ডেকে মণ্ডল নেতাদের নিয়ে সভা হবে কেন?’’ বিজেপির কিছু কর্মী তাঁদের ঠেকাতে গেলে হাতাহাতি শুরু হয়। সংঘর্ষে জড়িয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। দিলীপবাবু তত ক্ষণে প্রশিক্ষণ শিবিরে ঢুকে গিয়েছেন। অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন তাঁর ফাঁকা গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স এসে লাঠিচার্জ করে। কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “পুলিশ কর্মীরাও আক্রান্ত হন। কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে।’’
দিলীপবাবুর উপর আক্রমণের প্রতিবাদে এ দিন বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। গিরিশ পার্ক ও চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের সংযোগস্থলে পথ অবরোধ করা হয়। দিলীপবাবুর উপর হামলার প্রতিবাদে আজ, মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে ‘কালা দিবস’ পালন করবে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy