প্রতীকী ছবি।
কত টিকা লাগবে?— প্রশ্ন দিল্লির।
কত সংখ্যক দিতে পারবেন?-পাল্টা প্রশ্ন রাজ্যের।
ফল? কোভিডের টিকাকরণ শুরু হলে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম পর্যায়ে কত টিকার প্রয়োজন হবে, তা দিল্লিকে এখনও জানায়নি রাজ্য। দিল্লিকে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম পর্যায়ে কাদের টিকা দিতে চায়, কোন শর্তে দিতে চায়, রাজ্যের অংশীদারি কেমন হবে, সে সব জানালে রাজ্য কত টিকা প্রয়োজন তা জানাবে। এ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর এমন অবস্থান নিলেও দেশের অন্য রাজ্যগুলি কেন্দ্রের কাছে তাদের প্রাথমিক চাহিদা জানিয়ে দিয়েছে বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর।
কেন্দ্র প্রতিটি রাজ্যের কাছে প্রথম পর্যায়ে টিকাকরণের জন্য সম্ভাব্য টিকার সংখ্যা, কোল্ড চেনের পরিকাঠামো তৈরির ব্যবস্থা, প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যার হিসেব চেয়ে পাঠায়। স্বাস্থ্য ভবনের একাংশ জানাচ্ছে, রাজ্যের ৮.৬% জনসংখ্যা ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক। বর্তমান জনসংখ্যা ধরলে তা প্রায় ৯৪ লক্ষ। এর বাইরে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রায় তিন লক্ষ এবং বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় যুক্ত আরও অন্তত ২ লক্ষ কর্মী রয়েছেন। স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত না হলেও কোভিড যুদ্ধে নানা ভাবে শামিল আরও অন্তত এক লক্ষ কর্মী। ফলে রাজ্যে প্রথম ধাপেই এক কোটি করোনা টিকার প্রয়োজন। যদিও সরকারি ভাবে স্বাস্থ্য ভবন এক কোটি টিকা চেয়ে কোনও হিসেব কেন্দ্রকে দেয়নি।
কেন কেন্দ্রের কাছে প্রথম পর্যায়ের টিকা চাওয়া হল না? স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, ‘‘কেন্দ্র কী শর্তে, কাদের, কত দিনের মধ্যে, কী ভাবে টিকাকরণ করতে চায় তা জানায়নি। সে ভাবে কোভিডের টিকা নীতিই তৈরি হয়নি। ফলে দিল্লি সে সব জানালে আমরা টিকার চাহিদার কথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে জানাব। কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্য নিজেরা চাইলে টিকার ব্যবস্থা করতে পারবে কি না, সে ব্যাপারেও দিল্লি কিছু জানায়নি। পরিকাঠামোর দিক আমরা তৈরি করে রেখেছি।’’
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের দাবি, রাজ্যে বছরে ৮০ লক্ষ শিশুর টিকাকরণ করা হয়ে থাকে। পালস পোলিয়ো টিকাকরণ হচ্ছে এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কর্মসূচি। সে সময় সারা রাজ্যের ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে মেডিক্যাল কলেজ গুলি পর্যন্ত প্রসারিত কোল্ড চেনে প্রায় এক কোটি টিকা মজুত থাকে। ফলে রাজ্যে এখনই অন্তত দেড় কোটি টিকা কোল্ড চেনে মজুত রাখার পরিকাঠামো রয়েছে। দিল্লির নির্দেশ আসার পর পুরো ব্যবস্থাটি ঢেলে সাজার পাশাপাশি টিকা সংরক্ষণের জন্য পরিকাঠামোও বাড়াতে শুরু করেছে রাজ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy