Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
West Bengal Lockdown

কলেজ খুলতে আরও সময়ের দাবি

৩০ জুনের আগে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হলে কী কী অসুবিধা হতে পারে, তা নিয়ে উপাচার্য পরিষদের বৈঠকে উপাচার্যেরা আলোচনা করেন।

১০ জুন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলা অসুবিধাজনক বলেই উপাচার্য পরিষদের বৈঠকে মত উঠে আসে। ছবি: সংগৃহীত।

১০ জুন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলা অসুবিধাজনক বলেই উপাচার্য পরিষদের বৈঠকে মত উঠে আসে। ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২০ ০৪:২১
Share: Save:

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যরা চাইছেন, ১০ জুনের পরিবর্তে ৩০ জুনের পরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি খুলুক। শুক্রবার উপাচার্য পরিষদের বৈঠকে স্থির হয়েছে, এই সুপারিশ তাঁরা উচ্চ শিক্ষা দফতরকে করবেন।

৩০ জুনের আগে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হলে কী কী অসুবিধা হতে পারে, তা নিয়ে উপাচার্য পরিষদের বৈঠকে এ দিন উপাচার্যেরা আলোচনা করেন। দুই ২৪ পরগনা-সহ বেশ কিছু জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের যে তাণ্ডব হয়েছে, তাতে বহু কলেজ ক্ষতিগ্রস্ত। সেই সব কলেজের মেরামতি প্রয়োজন, যা সময়সাপেক্ষ। পাশাপাশি বেশ কিছু কলেজে রাজ্যের কোয়রান্টিন সেন্টার হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ১০ জুন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলা অসুবিধাজনক বলেই উপাচার্য পরিষদের বৈঠকে মত উঠে আসে। এ দিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, উপাচার্য পরিষদের সুপারিশ জেনে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কবে খোলা হবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে স্কুল ৩০ জুন খুলবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এ দিন শিক্ষামন্ত্রী জানান, আমপানের ফলে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৪০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ দিন শিক্ষামন্ত্রী আরও এক বার জানান, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা পদ্ধতি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ঠিক করবে। এ দিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় উপাচার্যদের জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যে গাছ পড়েছে, সেই ক্ষতিপূরণের জন্য আসন্ন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণ দরকার। শিক্ষামন্ত্রীও এ দিন জানিয়েছেন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে যাওয়া গাছগুলিকে বাঁচানো যায় কি না, তা দেখতে হবে। একান্তই যদি না-বাঁচে, তা হলে নতুন করে একটি গাছের জায়গায় পাঁচটি বৃক্ষ রোপণ করতে হবে।

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্র থেকে আসা ট্রেনই চিন্তা বাড়াচ্ছে হাওড়ায়

আরও পড়ুন: খাটের নীচ থেকে জেএমবি জঙ্গি ধরল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল সিমেস্টারের পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ে না-এসেই পরীক্ষা দেবেন। এ দিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঠিক হয়েছে আগের সাতটি সিমেস্টারের মধ্যে যে সিমেস্টারের ফল সব থেকে ভাল, তা থেকে ৩০ শতাংশ নম্বর বরাদ্দ থাকবে। বাকি ৭০ শতাংশের জন্য যে মূল্যায়ন তা কী প্রক্রিয়ায় করা হবে, তা সংশ্লিষ্ট

বিভাগ ঠিক করবে। প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষাও কী ভাবে নেওয়া হবে তা-ও ঠিক করবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এই সিমেস্টারের ফলপ্রকাশ ১১ জুলাই করার কথাই ভাবা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ফাইনাল সিমেস্টারের পড়ুয়াদের অনেকেরই ১ জুলাই চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা। তাঁরা যাতে কোনও সমস্যায় না-পড়েন, দরকারে তার জন্য সংস্থাগুলির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করবেন বলে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

West Bengal Lockdown Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE