Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
State News

মমতার অপেক্ষায় ১৫টি উন্নয়ন বোর্ড

গ্রীষ্মের ভরা পর্যটন তিন দিনের পাহাড় সফরে যাওয়ার পথেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাতে আসরে নেমেছে পাহাড়ের ১৫টি উন্নয়ন বোর্ড এবং জিটিএ। সরকারি সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে আগামী ২৮ মে বিকেলেই বাগডোগরায় পৌঁছনোর কথা মুখ্যমন্ত্রীর।

কিশোর সাহা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৮ ০৫:১২
Share: Save:

গ্রীষ্মের ভরা পর্যটন তিন দিনের পাহাড় সফরে যাওয়ার পথেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাতে আসরে নেমেছে পাহাড়ের ১৫টি উন্নয়ন বোর্ড এবং জিটিএ। সরকারি সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে আগামী ২৮ মে বিকেলেই বাগডোগরায় পৌঁছনোর কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাবেন জিটিএ প্রধান বিনয় তামাং। পাহাড়ের নানা সম্প্রদায়ের উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানদেরও থাকার কথা সেখানে। বিনয় বলেন, ‘‘পর্যটন মরসুমে এখন রেকর্ড ভিড় পাহাড়ে। তার উপরে খোদ মুখ্যমন্ত্রী আসছেন। এতে আমরা ভীষণ খুশি। ওঁকে স্বাগত জানাতে সব রকম প্রস্তুতি নিচ্ছি।’’

ভুটিয়া উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান পলদেন ভুটিয়াও একাধিক কর্মসূচি নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিমানবন্দর থেকে কালিম্পং পর্যন্ত নানা জায়গায় ওঁকে স্বাগত জানাব। তবে সবচেয়ে জমকালো সংবর্ধনা হবে কালিম্পঙে ঢোকার মুখে ১০ মাইলে।’’ সূত্রের খবর, লেপচা, তামাং, খাস উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিরাও সেবক থেকে তিস্তা বাজার পর্যন্ত নানা জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

পুলিশ-প্রশাসন সূত্রের খবর, সেই দিন মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি ডেলোয় যেতে পারেন। পরদিন, ২৯ মে সমাবেশ হবে কালিম্পঙে গ্রাহামস হোমের মাঠে। ১৫টি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিরা থাকবেন। সেখানেই ভুটিয়া উন্নয়ন বোর্ডের সমারোহও হবে।

সফরের তৃতীয় দিন অর্থাৎ ৩০ মে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জিটিএ-র পদাধিকারীদের বৈঠক হওয়ার কথা। জিটিএ-র তত্ত্বাবধায়ক চেয়ারম্যান বিনয়ও সে কথা জানিয়েছেন। সে দিনই আবার হিল ডেভেলেপমেন্ট কাউন্সিলের তরফে জিএনএলএফ নেতা মন ঘিসিংদেরও দেখা করার কথা। ৩১ মে মুখ্যমন্ত্রীর শিলিগুড়ি ফিরে উত্তরকন্যায় থাকার কথা। সরকারি একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ জুন বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী বাগডোগরা থেকে কলকাতার বিমান ধরতে পারেন।

এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের জন্য পাহাড় ও সমতলের শতাধিক বেসরকারি গাড়ি চেয়েছে পুলিশ ও পরিবহণ দফতর। তাতে পর্যটন ব্যবসায়ীদের একাংশ কিছুটা উদ্বিগ্ন। পুলিশ-প্রশাসনের একটি সূত্র অবশ্য জানিয়েছে, কোথাও জবরদস্তি কোনও গাড়ি নেওয়া হচ্ছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE