প্রতীকী ছবি।
ফুল তুলতে গিয়ে না বুঝেই বোমা কুড়িয়ে এনেছিল বছর সাতেকের মেয়েটি। পরে বাবার কথা শুনে সেটা ছুড়ে ফেলতে গিয়েই বিস্ফোরণে বাঁ হাত উড়ে যায় তার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার গোপালনগরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য দিনের মতো এ দিনও সকালে পাশের বাড়িতে ফুল তুলতে গিয়েছিল তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী পৌলমী মণ্ডল। ফুল তোলার সময় গাছের গোড়াতেই বলের মতো একটা কিছু দেখতে পেয়ে কৌতূহলে সেটা হাতে তুলে নেয় সে। তার পর সেই ‘বল’ নিয়ে সোজা বাড়িতে চলে আসে। বাড়িতে তখন তার বাবা এবং দাদু ছিলেন। বোমাটি বাবাকে দেখিয়ে সে জানতে চায়, এটা কী জিনিস? মেয়ের হাতে বোমা দেখেই বাবা শম্ভু হালদার চমকে ওঠেন। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটিকে বোমাটা ফেলে দিতে বলেন। বাবার কথামতো মেয়েটি বোমাটি ছুড়ে ফেলতে যায়, তখনই জোরাল বিস্ফোরণ। তাতেই পৌলমীর বাঁ হাত ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। জখম হন মেয়েটির বাবা এবং দাদু।
বোমার আওয়াজ পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন। তিন জনকেই তাঁরা জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিত্সার পর মেয়েটির বাবা ও দাদুকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পৌলমীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তিরত করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিও তোলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ব্যারাকপুরে ভাঙচুরের তদন্তে নামল পুলিশ-সেনা
আরও পড়ুন: বাবার কাটারির কোপে জখম মা-ছেলে, ধৃত
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যে বাড়িতে পৌলমী ফুল তুলতে গিয়েছিল সেটা কালীপ্রসাদ দাসের। কালীপ্রসাদ এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি-র হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরেই তৃণমূলের লোকজন তাঁকে হুমকি দিচ্ছিল। হয়তো তারাই বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাটি ছুড়ে মেরেছিল। কিন্তু, সেটা ফাটেনি। পরে পৌলমী তা তুলে নিয়ে যায়। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপি প্রার্থীর এই অভিযোগকে পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছে।
বোমাটা কোথা থেকে, কী ভাবে এল, কেউ জেনে-বুঝে রেখে গিয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy