মধুমিতা মিস্ত্রি।
থানার লক-আপের মধ্যেই গলায় ব্লেড চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল সোনারপুরে নিজের স্বামীকে খুনের মূল অভিযুক্ত মধুমিতা মিস্ত্রি। রবিবার সকালে জখম অবস্থায় তাঁকে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
দিন কয়েক আগেই খবরের শিরোনামে উঠে আসে সোনারপুরে ট্যাক্সি ইউনিয়নের নেতা সমীর মিস্ত্রির স্ত্রী মধুমিতার নাম। অভিযোগ, সমীরবাবু খুনের মূল চক্রান্তকারী এই মধুমিতাই। অভিযোগ, স্বামীকে খুন করার জন্য প্রেমিকের হাতে পিস্তল তুলে দিয়েছিলেন তিনিই। তদন্ত নেমে পুলিশ গ্রেফতার করে মধুমিতা ও তাঁর প্রেমিক চন্দন মণ্ডলকে।
শনিবার রাতেই ধৃত মধুমিতাকে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগার থেকে নিজেদের হেফাজতে আনে সোনারপুর থানার পুলিশ। মধুমিতাকে নিয়ে খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার জন্য মূলত তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকালে বাথরুমে গিয়েছিলেন মধুমিতা। কিছুক্ষণ পরেই তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এক মহিলা বন্দিই প্রথমে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন মধুমিতাকে। তিনিই খবর দেন বাকিদের। তার পরই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মধুমিতাকে। গলায় এবং হাতে ক্ষত রয়েছে অভিযুক্তের।
আরও পড়ুন: স্ত্রী-ই পিস্তল দেয় খুনের জন্য, জানাল পুলিশ
এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে পুলিশের নিরাপত্তা নিয়েও। কী ভাবে লক আপের মধ্যে ব্লেড নিয়ে ঢুকল মধুমিতা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, জেল থেকে আসার সময় পোশাকের মধ্যে করে ব্লেড নিয়ে এসেছিলেন তিনি। গাফিলতির কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন বারুইপুর জেলা পুলিশের এক আধিকারিক। অনুমান, খুনের ঘটনায় মধুমিতার ভূমিকা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। আর সেই কারণেই আত্মহত্যার চেষ্টা।
আরও পড়ুন: দু’দিন ধরে খাটের নীচে স্ত্রী-মেয়ের দেহ, চলল বিরিয়ানি-মদ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy