প্রতীকী ছবি।
আলাদা গোর্খাল্যান্ডের দাবি জোরদার করতে দেশ-বিদেশের নানা এলাকায় ছড়িয়ে থাকা গোর্খাদের একজোট হওয়ার ডাক দিল ন্যাশনাল গোর্খ্যাল্যান্ড কমিটি। শনিবার দার্জিলিংয়ের গোর্খা দুঃখ নিবারণী সমিতির হলে এক অনুষ্ঠানে কমিটির পক্ষ থেকে ফের আলাদা রাজ্যের দাবি তোলা হয়। একই সঙ্গে প্রস্তাবিত গোর্খাল্যান্ডের একটি মানচিত্রও প্রকাশ করা হয়।
গত বছর জুন মাসে এই একই দাবিতে পাহাড় উত্তাল করে দিয়েছিলেন বিমল গুরুং। পরে তাঁকে দার্জিলিং ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দিতে হয়। এখনও অবধি তিনি নিজের খাসতালুকে ফিরতে পারেননি। এর মধ্যে ধীরে ধীরে শান্ত হয়েছে পাহাড়। আসন্ন গরমের মরসুমে পর্যটন ব্যবসাও ভাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি স্থানীয় লোকজনের।
এই অবস্থায় কমিটির দেওয়া ডাকে নতুন করে আন্দোলন দানা বাঁধার আশঙ্কা করছেন জিটিএ চেয়ারম্যান বিনয় তামাং। কমিটির মঞ্চে এ দিন হাজির ছিলেন জন আন্দোলন পার্টির সভাপতি হরকাবাহাদুর ছেত্রী-সহ অনেক পাহাড়ি নেতাই। মঞ্চ থেকে যে প্রস্তাবিত গোর্খাল্যান্ডের মানচিত্রটি প্রকাশ করা হয়, সেখানে দার্জিলিং পাহাড় ছাড়াও শিলিগুড়ি এবং তরাই অঞ্চলকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বিমল গুরুং যে প্রস্তাবিত মানচিত্রটি সামনে রেখে দীর্ঘদিন লড়াই করেছিলেন, তাতে অবশ্য ডুয়ার্সও ছিল।
এ দিন কমিটির পক্ষে শক্তি গুরুং বলেন, ‘‘গোর্খাল্যান্ডের দাবি শতবর্ষ পুরনো। আমরা পাহাড় ও লাগোয়া এলাকার ভূমিপুত্র। কোনও ভাবেই বহিরাগত নই।’’ এই কমিটির লোকজনের সঙ্গে বিমল গুরুংয়ের সুসম্পর্ক ছিল বলে মোর্চার একাংশের দাবি। সূত্রের খবর, সম্ভবত তাই মোর্চা নেতারা এ দিনের অনুষ্ঠান এড়িয়ে যান। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি মেনে বিনয়ও এ দিন কলকাতায়। ওই কমিটিকে সামনে রেখে ফের পাহাড়ে আন্দোলন দানা বাঁধানোর চেষ্টা হতে পারে ভেবে মেপে পা ফেলছেন তাঁরা। যদিও অনীত থাপা জানান, পাহাড়ে আর কেউ অশান্তি চান না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy