এই সব বোমা লুকানো ছিল আরাবুলের বাড়ি লাগোয়া বাগানে।
এ যেন বোমার পাহাড়! কত তার সংখ্যা? ৩০০ হতে পারে, হতে পারে ৪০০। কিংবা তার চেয়ে অনেক-অনেক বেশি। তৃণমূলের দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলাম গ্রেফতার, তাঁর ভাই খুদেও ফেরার।শনিবার ভাঙড়ে উত্তর গাজিপুরে তাঁদের বাড়ি লাগোয়া যে বাগান, সেখান থেকে বিপুল পরিমাণে বোমা উদ্ধার করলেন বাসিন্দারাই।
দীর্ঘ দিন ধরে ভাঙড়ের জমি জীবিকা ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটির দাবি ছিল, আরাবুলের বাড়ি ও লাগোয়া বাগানটি সমাজবিরোধীদের আস্তানা। অভিযোগ, গতকাল মিছিলে হামলা চালানোর আগে নাকি সেই বাগানেই দুষ্কৃতীরা জড়ো হয়েছিল।
আজ কিন্তু ভাঙড়ের ‘তাজা নেতা’ বলে পরিচিত আরাবুল ইসলামের পেল্লায় দোতালা বাড়ির দরজায় তালা ঝুলছে। এর পাশেই তাঁর ভাই খুদের বাড়ি। দুই বাড়িই জনশূন্য। খানিকটা বিদ্রুপের সুরেই পাওয়ার গ্রিড আন্দোলনকারীরা বলছেন, ‘‘এত দিন ওরা ছিল ত্রাস। আর আজ গণরোষের ভয়ে সব্বাই পালিয়েছে।’’
আজ সকাল থেকেই আরাবুলের বাড়ি লাগোয়া বাগানে নেমে পড়েন বাসিন্দারা। এর পর গুপ্তধনের মতো উদ্ধার হতে থাকে লুকিয়ে রাখা রাশিরাশি বোমা। মাটির নীচে টিনের ড্রাম ও থার্মোকলের বাক্সে কাশের গুঁড়ো দিয়ে তা মজুত করে রাখা হয়েছিল। এলাকার মানুষের সন্দেহ, সেগুলো হয়তো পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য ছিল। বাগানে রয়েছে বেশ কয়েকটি খড়ের গাদা, সেখান থেকেও প্রচুর বোমা মিলেছে। বোমা উদ্ধারের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বারুইপুরের পুলিশ সুপার অরিজিত্ সিংহ, তবে এলাকায় এক জন পুলিশকেও দেখা যায়নি
আরও পড়ুন: ফুঁসছে এলাকা, বারুদের স্তূপে ভাঙড়, চিহ্ন নেই পুলিশের
আরও পড়ুন: আমি তো ওখানে ছিলামই না, বলব মুখ্যমন্ত্রীকে: আরাবুল
স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগ, আরাবুলের বাড়িতে যে অস্ত্রশালা রয়েছে, সে কথা পুলিশকে বহুবার জানিয়েও লাভ হয়নি। তাঁর বাড়ির সামনে থেকে রাইফেলের বাঁট পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি উঠেছে। বাসিন্দাদের দাবি, এ বার আরাবুলের বাড়িতেও তল্লাশি চালোনো হোক। তাহলে হয়তো মিলতে পারে আরও অস্ত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy