মেঘের পরে মেঘ। বালুরঘাটে কালবৈশাখী। ছবি: অমিত মোহান্ত
সকাল ন’টাতেই যেন রাত ন’টা। শুক্রবার সকালে আচমকা আকাশ মেঘে ঢেকে গেল। কোথাও আঁধার এত গভীর যে রাতই মনে হচ্ছে। কোথাও যেন সন্ধে। আর সেই সঙ্গে ভরা চৈত্রে শিরশিরানি ঠান্ডা।
শুক্রবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং থেকে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ি, কিংবা ইসলামপুর, সর্বত্রই ঝোড়ো বাতাসও বয়েছে। শিলাবৃষ্টি হয়েছে ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকায়। কোচবিহারেও। শিলাবৃষ্টির ফলে বোরো ধান, আনাজ, টমেটো, আলু, তামাকের ক্ষতি হয়েছে। অন্তত ১ হাজার ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের আশঙ্কা, ‘‘গোটা উত্তরবঙ্গে অন্তত ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব জেলার রিপোর্ট পেলে নবান্নে জানানো হবে। সেখান থেকে যেমন নির্দেশ মিলবে সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে।’’
ভোর ৪টেয় শিলাবৃষ্টি শুরু হয় কোচবিহারে। কয়েক হাজার হেক্টর জমির ভুট্টা, তামাক, আনাজ, পাটের ক্ষতি হয়। রসিকবিল সহ নানা জলাশয়ের পরিযায়ী পাখি শিলের আঙাতে মারা গিয়েছে বলে পরিবেশকর্মীদের দাবি। তবে জখম ও মৃত পাখি উধাও। কোচবিহারের মাতালহাটের কৃষক দিলীপ সেন, পুলক সরকাররা বলেন, “প্রচুর ফসল নষ্ট হওয়ায় বহু টাকা লোকসানের মধ্যে পড়তে হবে। ঝিঙে, পটল, ঢ্যাঁড়শ নষ্ট হয়েছে।” সুচিত্রা বর্মন, হিতেন বর্মনের বাড়ির টিন নষ্ট হয়েছে। বেশ কয়েক বিঘার জমির তামাক পাতা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কোচবিহারের ডিএম কৌশিক সাহা বলেন, “সব জায়গায় অফিসাররা গিয়েছেন।”
আলিপুরদুয়ার জেলার আকাশও সাতসকালে কালো মেঘে ঢেকে যায়। গুড ফ্রাইডে হওয়ায় ছুটির দিন বৃষ্টিতে অনেকেই ঘরের বাইরে আর বেরোননি। বৃষ্টির সঙ্গে ঝড় হয়েছে দফায় দফায়। চেচাখাতা, দমনপুর, রাজাভাতখাওয়া, গরম বস্তি বীরপড়া তপসিখাতা শোভাগঞ্জ এলাকায় বিস্তীর্ণ এলাকায় দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি হয়।
শিলিগুড়িতে ভোর থেকেই আকাশে মেঘ ছিল। তবে বৃষ্টি খুব একটা হয়নি। তাতে শহরে অবশ্য সাধারণ মানুষ স্বস্তিই পেয়েছেন। হালকা শীতের আমেজ মেলে মার্চের শেষেও। দার্জিলিঙেও দিনভর মেঘ-বৃষ্টি রোদের লুকোচুরি ছিল। ফাঁকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাওয়ায় পর্যটকদের অনেকেই উচ্ছ্বসিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy