দস্যুদল: কুলতলিতে ধৃত বাংলাদেশি জলদস্যু। —নিজস্ব চিত্র।
গভীর রাতে জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচ বাংলাদেশি জলদস্যুকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলের দিকে জেলেদের ছোট ট্রলার থেকে ছ’জন অপরিচিত মানুষকে কুলতলির কৈখালি জঙ্গলের কাছে বস্তা-ভর্তি মালপত্র নিয়ে নামতে দেখেন মানুষজন। খবর যায় পুলিশের কাছে। কুলতলি থানার পুলিশ ও বারুইপুর পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ নজরদারি শুরু করে। রাত ২টো নাগাদ জঙ্গল থেকে কয়েকজনকে ভুটভুটিতে উঠতে দেখে পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে পাকড়াও করা হয় ওই পাঁচজনকে।
ধৃতদের নাম মহম্মদ আব্দুর রহমান মোড়ল, মিসবা গাজি, জাহির শেখ, আব্দুল্লা আল মামুন ও জাহাঙ্গির আলম গাজি। বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষিরায়। তাদের কাছ থেকে ৫টি একনলা বন্দুক, একটি পাইপগান, ৭ রাউন্ড কার্তুজ এবং ৭টি বোমা উদ্ধার হয়েছে। ধৃতেরা সকলেই বাংলাদেশি জলদস্যু বলে জানিয়েছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার অরিজিৎ সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘বেশ কিছু দিন ধরে এই দুষ্কৃতী দলটি সুন্দরবনের বিভিন্ন জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে খবর ছিল।’’
পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সম্প্রতি কোস্টাল থানার পীরখালি জঙ্গলের কাছে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছিল স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। সে সময়ে বেশ কয়েকজন জলদস্যু জলে লাফ দিয়ে পালিয়েও গিয়েছিল। তবে ধৃতদের জেরা করে জানা যায়, সকলেই বাংলাদেশের ‘জনাব’ গোষ্ঠীর সদস্য। এই জলদস্যু দলটি সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের উপরে হামলা, লুঠপাট চালায়। খবর পেয়ে ওই গোষ্ঠীরই ৫ জনকে ধরতে পারল পুলিশ। তবে ‘জনাব’ গোষ্ঠীর সদস্য তথা জলদস্যু দলের পান্ডা বাবুর খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy