বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিনে তাঁরই নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তন। সেই মঞ্চ থেকে ঘোষণা হল, আইনি কোনও বাধা না থাকলে চুরুলিয়ায় কবির জন্মভিটে এবং সেখানে চালু হওয়া নজরুল অ্যাকাডেমি এ বার কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। আর সেই একই
মঞ্চে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্বাস দিলেন, তাঁর নিজের দেশের মতো এ দেশের নজরুল গবেষক, সংগঠকদেরও সাধ্যমতো সাহায্য করবেন।
বাংলাদেশের জাতীয় কবি নজরুলের সঙ্গে তাঁর বাবার সম্পর্কের কথাও শনিবার বারবার মনে করিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু মুজিবুর-কন্যা হাসিনা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ‘জয়বাংলা’ স্লোগান যে আদতে নজরুলের কবিতা থেকেই নেওয়া, স্মরণ করান সে কথাও। এই
প্রসঙ্গেই আসে চুরুলিয়ার কথা এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
হাসিনার কথায়, ‘‘বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ১৯৯৯ সালে আমাকে দেশিকোত্তম সম্মান দিয়েছিলেন। তার পরেই গিয়েছিলাম চুরুলিয়ায় নজরুলের জন্মভিটেয়। তখন করুণ অবস্থা ছিল। এখন অনেক উন্নত হয়েছে। এর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ।’’ নজরুলের নামে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্যও মমতাকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এ বার চুরুলিয়ায় যেতে পারলেন না হাসিনা। তবে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়িয়ে একাধিক বার নজরুলের জন্মভিটের কথা স্মরণ করেন তিনি। নজরুলের জন্ম এ দেশে হলেও তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তাই তাঁর আদর্শ ও চেতনা বাঁচিয়ে রাখতে দুই দেশকে একযোগে কাজ করতে হবে, আর্জি হাসিনার। তাঁর কথায়, ‘‘দুই দেশের যৌথ আগ্রহে এখানে নজরুল গবেষণা কেন্দ্রটি চলছে। এই কেন্দ্রের উন্নয়নে আমরা এক সঙ্গে কাজ করব।’’
শনিবার ছিল নজরুলের ১১৯তম জন্মদিন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় হাসিনাকে ‘জননেত্রী’ সম্বোধন করে বলেন, ‘‘এই রকম একটা দিনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সাম্মানিক ডি লিট দিতে পেরে আমরা গর্বিত।’’ হাসিনা জানান, নজরুলের জন্মদিনে পাওয়া এই সম্মান তিনি বাংলাদেশবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নিলেন। তাঁর হাতে সম্মান তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। চুরুলিয়ায় কবির জন্মভিটে ও নজরুল অ্যাকাডেমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত করার কথাও জানান তিনিই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy