অণ্ডাল বিমানবন্দরে কবির মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। নিজস্ব চিত্র
চালু হওয়ার তিন বছরের মাথায় প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক বিমান নামল অণ্ডাল বিমানবন্দরে। শনিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি নামার সঙ্গে-সঙ্গেই এই পালক যুক্ত হল বিমানবন্দরের মুকুটে। এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ অণ্ডালের রানওয়েতে নামে বাংলাদেশের বিমানটি।
অণ্ডাল থেকে এখন সপ্তাহে চার দিন দিল্লি যাতায়াত করে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। এ দিন বাংলাদেশের বিমান নামার পরে সিঁড়ি লাগানো থেকে আনুষঙ্গিক কাজকর্ম করেন এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরাই। ১৭২ আসনের বিমানটিতে ১৬০ জন যাত্রী ছিলেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিমান দেখতে বিমানবন্দরের বাইরে ভিড় জমান আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। ছিল কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
বিমানবন্দরে হাসিনাকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, বর্ধমান ডিভিশনের কমিশনার, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক, আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার-সহ পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ হাসিনার গাড়ির কনভয় আসানসোলের উদ্দেশে বেরিয়ে যায়। এর পরে একে-একে বিমানের পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার, বিমানসেবিকারা বাইরে এসে কাজী নজরুল ইসলামের আবক্ষ মূর্তিতে মালা দেন।
ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ ফায়েকুজ জামান বলেন, ‘‘নজরুল ইসলামের নামে এমন সুন্দর বিমানবন্দর দেখে খুব ভাল লাগল।’’ বিমানসেবিকা শুভ্রা রায়ের কথায়, ‘‘আগে বহু বার এ দেশে এসেছি। তবে নতুন একটি বিমানবন্দরে নামার মজাই আলাদা।’’ পাইলট কাইজার রাসেদিন বলেন, ‘‘সুন্দর বিমানবন্দর। ভবিষ্যতে নিশ্চয় আরও আন্তর্জাতিক উড়ান এখানে আসবে।’’
আসানসোলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে বিকেল সওয়া ৩টে নাগাদ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কনভয় আসানসোল থেকে অণ্ডাল বিমানবন্দরে ফিরে আসে। বিমানবন্দরে ঢোকার মুখে হাসিনা নজরুলের আবক্ষ মূর্তিতে মালা দেন। পরে বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সবার পক্ষ থেকে আপনাদের শুভেচ্ছা জানাই।’’ বিকেল পৌনে ৪টে নাগাদ হাসিনার বিমান কলকাতার উদ্দেশে উড়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy